হাজারও বাধার মুখেও দমে যাননি বঙ্গবন্ধু কন্যা
নির্বাসিত জীবনের ইতি টেনে ১৯৮১ সালে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাংলা মায়ের দুঃখিনী কন্যা শেখ হাসিনা। জেল-জুলুম অত্যাচার ও মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে ২১ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামী জীবনের বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথম রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। হাজারও বাধার মুখেও দমে যাননি বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কানাডায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এদিন দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক সুকোমল রায় ও উপস্থাপনায় ছিলেন সদস্য তাজুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম আজম খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কানাডা গঠনের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য সবাইকে অবহিত করেন।
বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন। তাহার জাদুকরি নেতৃত্বে ছোঁয়ায় বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত বিশাল জনগোষ্ঠীর এই ক্ষুদ্র ভূখণ্ডটি অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে গিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। স্বীয় মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সাহস, সততা, সংগ্রাম, ত্যাগ ও নীতিকুশলতায় মহিমান্বিত হয়ে তিনি আজ উপমহাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব নেতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনার কুশলী নেতৃত্বে ডিজিটালাইজড দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা চলমান।
অন্টারিও আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য জিয়াউল আহসান চৌধুরী সবাইকে নিয়ে দোয়া পাঠান্তরে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও কল্যাণের বৃহত্তর স্বার্থে জনগণের দোয়ায় মহান আল্লাহতালা নেত্রীকে দীর্ঘজীবন দান করবেন বক্তারা সে আশাবাদও ব্যক্ত করেন। এ সময় বাংলাদেশে থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবু ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য- দেন কানাডা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আব্দুল গাফ্ফার, তফাজ্জল আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নীরু চাকলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শেদ আহমেদ মুক্তা, দপ্তর সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিন, সদস্য জুটন তরফদার ও আব্দুল হামিদ।
অন্টারিও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফায়জুল করিম, নওশের আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী লিটন, দপ্তর সম্পাদক খালেদ শামীম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুষফিকুর রহমান আকন্দ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হাসমত আরা চৌধুরী ও সদস্য নিতাই দেবনাথ বক্তব্য দেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. মো. হুমায়ুন কবির ও সহ-সভাপতি এ এম এম তোহা। ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুর রহমান, শাকিল আহমেদ ও সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জমান মনির। সংগঠনের যুগ্ম-সচিব মনিরুল ইসলাম তারেক, সদস্য সেলিনা পারভীন রিনি ঝিনি, সিদ্ধার্থ সাহা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা মহানগর উত্তরের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাওহীদ খান আশিক, মো. সাকিব, আল রাফি. রিশাদ আসলাম, তৌহিদুর, রহমান খান, নিলয় পন্ডিত, ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, বাপ্পী, মো. সোহাগ হোসেন, ইমরুল কায়েস, সোহেল আহমেদ।
বক্তব্য পর্বের শেষে সকলে মিলে কেক কেটে জন্মদিনের উৎসবে মেতে উঠেন। পরিশেষে সভাপতি উপস্থিত সবাই ধন্যবাদ জানিয়ে ও নৈশভোজে আহ্বান করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এমআরএম/জেআইএম