জীবনের শেষ সময় স্বজনদের পাশে থাকতে চান ইয়ার হোসেন

পরিবারের সুখ-শান্তি ও উন্নত জীবনের আশার দেড় যুগ আগে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সোনার হরিণ ধরতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত পাড়ি দেন ঢাকার ধামরাই উপজেলার মোহাম্মদ ইয়ার হোসেন (৪৭)।
চাকরি করতেন একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে। তিন মাস আগে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শরীরের এক হাত ও এক পা অবশ হয়ে গেছে। সেই থেকে সালমিয়া মমতাজ হোটেলের সামনে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে।
জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হোটেলে খেতে আসা প্রবাসীরা তাকে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। আর রাত হলে হোটেলের সামনে মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েন। অসুস্থ বলে রুমে রাখতে রাজি হন না কেউ।
দেশে পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও বিয়ে করেননি। মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই। ভাই-বোন আছে, তবে তারা নিজ নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত। কর্মজীবনের জমানো সব অর্থ দেশে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
পরিবারের লোকজন দেশে আসতে বললেও পঙ্গু অবস্থায় চিকিৎসা খরচ, বিমানের টিকেট কে করে দেবেন? আবার পলাতক হিসেবে কোম্পানি মামলা করেছে বলেও জানান তিনি।
তার আরজি, কোনো হৃদয়বানের সহযোগিতায় জীবনের শেষ সময়টুকু দেশের মাটিতে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের কাছে থাকতে চান।
এ বিষয়ে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খান বলেন, মোহাম্মদ ইয়ার হোসেনকে আইন অনুযায়ী দূতাবাসের মাধ্যমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০০৯৬৫৯৯৬২৮৬০৪ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
এমএআর/এমএস