বার্সেলোনায় কনস্যুলার সার্ভিস অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ১২ জুন ২০১৭

স্পেনের বার্সেলোনায় গত শুক্র ও শনিবার কনস্যুলার সার্ভিস প্রদান করেছে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। বার্সেলোনা থেকেই মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের আবেদন করার সুযোগ তৈরির পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো দুই দিনব্যাপী কনস্যুলার সেবা দিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

এ সার্ভিসে প্রায় ৭০ জনের এমআরপি পাসপোর্টের আবেদনের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয়েছে। প্রথম দিন শুক্রবার লনড্রেস সড়কের ৩৫ নম্বর বিল্ডিং এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের বার্সেলোনা কনস্যুলেট অফিসে (দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার বিরতি বাদে) ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পাসপোর্টের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় দিন শনিবার কমতে উরখেল সড়কের ১৪৫ নম্বর সেন্ত্রোসিভিক ভবনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পাসপোর্টের আবেদন, ৬ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও কাগজপত্র সত্যায়িত করা হয়।

পরে দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিরতির পর পূর্বের আবেদন করা পাসপোর্ট বিতরণ, ট্রাভেল পারমিট প্রদান, এনভিআর এর আবেদন গ্রহণ করা হয়। এছাড়া কনস্যুলার সার্ভিস শেষে প্রায় এক ঘণ্টা পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, কনস্যুলার সার্ভিসের আগে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েব সাইটে প্রচার করা জরুরি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ৬ মে থেকে বার্সেলোনায় কনস্যুলার অফিস সময়ে সরাসরি বা টেলিফোনের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য সিরিয়াল গ্রহণের আহ্বান করেছিল। সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৬৫ জনের আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সে অনুযায়ী ওই দিন অনেকে ভোর থেকে সিরিয়াল দেয়ার জন্য কনস্যুলার অফিসের জড়ো হতে দেখা যায়। কিন্তু তাদের অনেকে সিরিয়াল না পেয়ে হতাশ হয়ে কনস্যুলার অফিস ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

এমআরপি পাসপোর্টের আবেদনকারীদের তুলনায় সেবা প্রদানের কোটা সীমিত হবার কারণে তারা এমআরপির আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতি দুই মাস পর পর মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনায় এসে দুই দিনব্যাপী তারা কনস্যুলার সেবা দিচ্ছেন। পূর্বে যেখানে বার্সেলোনা থেকে এমআরপি আবেদনের সুযোগ ছিল না, সেখানে দূতাবাস সুযোগটা তৈরি করেছে।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com