কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের বিধিনিষেধ নিয়ে সিদ্ধান্ত শুক্রবার
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত খোলার বিষয়ে শুক্রবার (১১ জুন) ঘোষণা আসতে পারে। এ জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে করোনা টিক গ্রহণকারীরা কীভাবে দুই দেশে ভ্রমণ করতে পারেন তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মহামারির কারণে বর্তমানে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। যদিও নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দারা কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন। গত মাসে করোনা পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে ভ্রমণ পুনরায় শুরু করার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছিল ফেডারেল প্যানেল।
এদিকে সীমান্তের বিধিনিষেধের মেয়াদ ২১ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মঙ্গলবার (৮ জুন) অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যখন সীমান্ত খুলার কথা বলা হয়েছে, তখন আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আমরা এটা করব। তবে যারা করোনার দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন তারাই ভ্রমণের বিধিনিষেধের বাইরে থাকবেন।’
এদিকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণকে সীমাবদ্ধ করে ব্যবসার স্বার্থে সীমান্তে বিধিনিষেধ শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পর্যটন ও ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো।
বিশিষ্ট কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, টিকা দেয়া ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ যে খোলা নেই, করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন সে কথাই প্রমাণ করে। এছাড়া জীবন-জীবিকার উন্নয়ন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ যে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তা থেকে উত্তরণে সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে ট্রুডো সরকার।
বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী কিরণ বনিক শংকর করোনার সময়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপরই প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দেশটির নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে ট্রুডোর বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে স্থল ও আকাশপথে যাত্রী চলাচল কমে গেছে। এ বিধিনিষেধে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে কানাডার পর্যটন খাতে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।
এসব ক্ষতির কথা চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে কানাডার সরকার। যদিও টিকা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এখনও পিছিয়ে রয়েছে দেশটি।
জেডএইচ/এমকেএইচ