আমদানি করা ফ্রোজেন মাংস কি হালাল?

যে কোনো পশু-পাখি জবাইয়ের সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা অর্থাৎ ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করা জরুরি। জবাইকারীর মুসলমান হওয়াও জরুরি। ভুল করে জবাইয়ের সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করলে ওই পশু-পাখি খাওয়া যাবে। কিন্তু জবাইয়ের সময় যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করা হয়, তাহলে ওই পশু-পাখি খাওয়া যাবে না। অমুসলিম ব্যক্তির জবাই করা পশু-পাখিও খাওয়া যাবে না। আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা বলেন,
وَ لَا تَاۡکُلُوۡا مِمَّا لَمۡ یُذۡکَرِ اسۡمُ اللّٰهِ عَلَیۡهِ وَ اِنَّهٗ لَفِسۡقٌ وَ اِنَّ الشَّیٰطِیۡنَ لَیُوۡحُوۡنَ اِلٰۤی اَوۡلِیٰٓئِهِمۡ لِیُجَادِلُوۡکُمۡ وَ اِنۡ اَطَعۡتُمُوۡهُمۡ اِنَّکُمۡ لَمُشۡرِکُوۡنَ
আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়না তা তোমরা আহার করনা; নিশ্চয় তা পাপাচার এবং শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সঙ্গে তর্ক-ঝগড়া করার জন্য প্ররোচিত করে; যদি তোমরা তাদের কথা মান্য করে চল তাহলে অবশ্যই তোমরা মুশরিক হয়ে যাবে। (সুরা আনআম: ১২১)
আমদানি করা ফ্রোজেন বা হিমায়িত মাংসের ক্ষেত্রেও এই বিধান প্রযোজ্য। অমুসলিম ব্যক্তির জবাইকৃত বা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা ছাড়া জবাইকৃত পশুর হিমায়িত মাংস আমদানি করা হলে তা খাওয়া জায়েজ হবে না।
তাই হিমায়িত মাংস কেনার আগে যাচাই করে নিতে হবে ওই মাংস কোন দেশ থেকে এসেছে এবং সেগুলো যথাযথভাবে জবাই করা পশুর মাংস কি না। হিমায়িত মাংস যদি মুসলিমপ্রধান দেশসমূহ থেকে আমদানি করা হয় যেসব দেশে সাধারণত মুসলমানরাই হালাল পদ্ধতি অনুসরণ করে পশু জবাই করে থাকে, তাহলে ওই হিমায়িত মাংস খাওয়া জায়েজ হবে।
হিমায়িত মাংস যদি অমুসলিম দেশসমূহ থেকে আমদানি করা হয় যেসব দেশে হালাল পদ্ধতিতে জবাই করার সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে প্রচলিত নয়, তাহলে দেখতে হবে ওই মাংস কোনো নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ‘হালাল’ সার্টিফাইড কি না। নির্ভরযোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ‘হালাল’ সার্টিফাইড হলে এবং এই সার্টিফিকেট ভুয়া বা বানানো নয় এটা নিশ্চিত হলে অমুসলিম দেশ থেকে আমদানিকৃত মাংস খাওয়া জায়েজ হবে। অন্যথায় অমুসলিম দেশ থেকে আমদানিকৃত হিমায়িত মাংস খাওয়া জায়েজ হবে না।
ওএফএফ/এমএস