নামাজের কেরাতে যেভাবে তারতিব রক্ষা করবেন
ফরজ নামাজে সুরা ফাতেহার পর যে কেরাত পড়া হয়, তাতে কোরআনের তারতিব বা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত, তারতিব রক্ষা না করা মাকরুহ। কেরাতে কোরআনের তারতিব দুইভাবে নষ্ট হতে পারে:
১. আগে পরে পড়া
সুরা ফাতেহা পড়ার পর প্রথম রাকাতে যে সুরা বা কোরআনের যে রুকু পড়া হয়েছে, পরের রাকাতে তার পরবর্তী কোনো সুরা বা রুকু পড়া উচিত। প্রথম রাকাতে এক সুরা বা রুকু পড়ে পরের রাকাতে আগের কোনো সুরা বা রুকু পড়া মাকরুহ। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা ফিল পড়ার পর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা হুমাজাহ পড়া মাকরুহ। কারণ এতে কোরআনের সুরার ধারাবাহিকতা পাল্টে দেয়া হয়। (দুররুল মুখতার)
২. এক সুরা বা রুকু বাদ দিয়ে পড়া
প্রথম রাকাতে ছোট একটি সুরা বা রুকু পড়ে পরবর্তী রাকাতে মাঝখানে শুধু একটি সুরা বা অল্প কিছু আয়াত বাদ দিয়ে পরের সুরা বা অংশ পড়া মাকরুহ। তবে ছোট দুই সুরা, বড় সুরা বা বেশ কিছু আয়াত বাদ দিয়ে পরের কোনো অংশ থেকে পড়লে সমস্যা নেই। যেমন-প্রথম রাকাতে সুরা ফিল পড়ার পর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কুরাইশ বাদ দিয়ে সুরা মাউন পড়া মাকরুহ। কিন্তু সুরা কাউসার বা কাফিরুন বা এর পরের সুরাগুলো পড়লে সমস্যা নেই। (দুররুল মুখতার, শামি)
ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা নাস পড়ে ফেললে কী করবেন?
কেউ যদি ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা নাস পড়ে ফেলে, তাহলে দ্বিতীয় রাকাতেও সুরা নাসই পড়বে। পরপর দুই রাকাতে এক সুরা পড়া অনুত্তম হলেও এ রকম ক্ষেত্রে কোরআনের তারতিব বা ধারাবাহিকতার বিপরীত আগের কোনো সুরা না পড়ে আবার সুরা নাস পড়াই সঠিক হবে। আর যদি দ্বিতীয় রাকাতে আগের কোনো সুরা পড়ে, তাহলেও নামাজ নষ্ট হবে না বা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
উল্লেখ্য যে, নফল নামাজে কোরআনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি নয়। ফরয-ওয়াজিব নামাজেও ভুলে ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে নামাজ মাকরুহ হবে না। কেউ যদি ফরজ নামাজে ইচ্ছাকৃত কেরাতের ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে, তাহলেও নামাজ নষ্ট হবে না বা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। তবে এটা মাকরুহ কাজ হবে।
ওএফএফ/এএসএম