নফল ইবাদত-বন্দেগিতে কাটুক মুমিনের রমজান

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০২৩

রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে দিনগুলো অতিবাহিত করছে রোজাদার। রমজান মাসে নফল ইবাদতকে ফরজের মর্যাদা দেওয়া হয় তাই বেশি বেশি নফল ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত। নফল ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে ফরজ ইবাদতের ভুল-ত্রুটিগুলো পূর্ণ করে দেওয়া হয়।

রমজান মাসের যে নফল ইবাদতের মধ্যে বিশেষ ইবাদত হচ্ছে রাতের নামাজ তারাবিহ। তারাবিহ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো বিশ্রাম বা আরাম করা। দীর্ঘ কেরাতে তারাবিহ আদায় করা হতো বিধায় ৪ রাকাত পরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম বা আরাম গ্রহণ করে আবার এ নামাজ পড়া হতো। তাই দীর্ঘ কেরাআতে তারাবিহ পড়া উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ।

অনেকেই দীর্ঘ কেরাতে রাত জেগে বিশেষ নফল ইবাদত তারাবিহ আদায়ে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকছে মুমিন মুত্তাকি বান্দা। কেননা রমজানের নফল ইবাদতের গুরুত্ব অনেক বেশি। তারাবিহ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সাওয়াবের নিয়তে রমজানের তারাবিহর নামাজ আদায় করে তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।' (বুখারি ও মুসলিম)
এ হাদিস থেকে বুঝা যায় তারাবিহ নামাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘আমাদের প্রভূ যিনি সব কল্যাণের মালিক এবং সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, তিনি প্রতি রাতে এমন সময় দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন যখন রাতে এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে আর বলেন, কে আছো? আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সারা দেব, কে আছো? আমার কাছে প্রার্থনা কর, আমি তাকে দান করবো এবং কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো? আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।' (বুখারি)
রমজান মাসে রাত জেগে যারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং অপরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেন, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে রয়েছে সম্মানের স্থান। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহমত নাজিল করেন, যিনি রাতে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেন। অতপর তিনি (স্ত্রী) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এমনকি যদি তিনি (স্ত্রী) ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না চান, তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেন।’ (আবু দাউদ ও নাসাঈ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলমানদের মধ্যে আল কোরআনে অভিজ্ঞ ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি সম্মানের অধিকারী হবেন।’ (বায়হাকি)

রমজানের এ মর্যাদাপূর্ণ মাসে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা পেতে বেশি বেশি নফল ইবাদত-বন্দেগি একান্ত প্রয়োজন। রোজাদার মুমিন মুসলমান যেন পবিত্র এই রমজানে ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ সৎকর্মশীল বান্দাদের সঙ্গী হতে পারে, সেই তাওফিক দান করুন।' আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।