জানাজার নামাজ পড়ানোর ক্ষেত্রে কে অগ্রাধিকার পাবেন?
![জানাজার নামাজ পড়ানোর ক্ষেত্রে কে অগ্রাধিকার পাবেন?](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/janaja-20230930175849.jpg)
জানাজা একটি বিশেষ নামাজ, যা কোনো মুসলমান ব্যক্তি মারা গেলে তার জন্য দোয়া করা ও তাকে বিদায় জানানোর জন্য আদায় করা হয়। এক মুসলমানের ওপর আরেক মুসলমানের একটি হক হলো সে তার জানাজার নামাজ আদায় করবে, তাকে সমাহিত করবে। রাসুল (সা.) বলেন,
حَقُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلاَمِ، وَعِيَادَةُ المَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ العَاطِسِ
এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের হক পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, তার জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং তার হাঁচির জবাব দেওয়া। (সহিহ বুখারি: ১২৪০, সহিহ মুসলিম: ২১৬২)
মুসলমান মৃতের জন্য জানাজা পড়া ফরজে কেফায়া বা মুসলমান সমাজের আবশ্যকীয় কর্তব্য অর্থাৎ কয়েকজন জানাজা পড়লে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে, কেউ না পড়লে সবাই গুনাহগার হবে।
মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজে যদি মৃত ব্যক্তির ওলি বা অভিভাবক এবং এলাকার মসজিদের ইমাম উভয়ে উপস্থিত থাকেন এবং মসজিদের ইমাম ইসলামি জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতায় মৃতের অভিভাবক ও আত্মীয়দের চেয়ে বেশি যোগ্য হন, তাহলে এলাকার মসজিদের ইমামই জানাজা পড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রখ্যাত তাবেঈ ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন,
يُصَلِّي عَلَيْهَا أَئِمَّةُ الْمَسَاجِدِ. تَرْضَوْنَ بِهِمْ فِي صَلَاتِكُمُ الْمَكْتُوبَاتِ، وَلَا تَرْضَوْنَ بِهِمْ عَلَى الْمَوْتَى.
জানাজার নামাজ পড়াবেন মসজিদের ইমামগণ। তোমরা তাদের পেছনে ফরজ নামাজ পড়ো, জানাজা পড়বে না কেন! (কিতাবুল আসার: ২৩৭)
আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, তাবেঈ সালেম (রহ.) তাউস (রহ.), কায়েস (রহ.), মুজাহিদ (রহ.) এবং আতা (রহ.) জানাজার নামাজ পড়ানোর ক্ষেত্রে মসজিদের ইমামকে অগ্রাধিকার দিতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১১৪৩২)
তবে মৃতের অভিভাবক বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে যদি মসজিদের ইমামের চেয়ে বড় কোনো আলেম বা বুজুর্গ ব্যক্তি থাকেন, তাহলে তিনি জানাজা পড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
ওএফএফ/এমএস