শবে বরাতের রাতে করণীয়


প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ২১ মে ২০১৬

লাইলাতুল বরাত। শাবান মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। হাদিসের ভাষায় “লাইলাতুন্ নিসফ্ মিন শাবান” যা ১৪ শাবান দিবাগত রাতকে বুঝায়। আর ফার্সি শব্দ শব মানে রাত্রি আর বারাআত শব্দের অর্থ হলো অব্যহতি বা নিষ্কৃতি সুতরাং শবে বরাত শব্দের অর্থ দাঁড়ায় নিষ্কৃতির রজনী। এ রাতে যেহেতু আল্লাহ তাআলা পাপী মানুষকে ক্ষমা করেন সেহেতু এ রাতকে লাইলাতুল বারাআত বা শবে বরাত বলা কোনো দোষণীয় বিষয় নয়। এ রাতে করণীয় নির্ধারণে বিশ্বনবি যা করতেন, তা তুলে ধরা হলো-

এ রাতে করণীয়
১. আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া (নিজ গৃহে) রাত জেগে ইবাদাত করা। তা হতে পারে নফল নামাজ, জিকির-আজকার, কুরআন তিলাওয়াত ও তাওবা-ইস্তিগফার ইত্যাদি। হাদিসে এসেছে- এ রাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং ফজর পর্যন্ত মানুষকে তাঁর কাছে ক্ষমা, রোগ মুক্তি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি, রিজিকসহ ইত্যাদি বৈধ প্রয়োজনীয় চাহিদার জন্য তাঁর নিকট প্রার্থনা করতে আহ্বান করতে থাকেন।

২. পরদিন রোজা রাখা। কেননা এ রাতের পরদিন রোজা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘১৫ শাবান রাত জেগে ইবাদাত কর এবং পরদিন রোজা রাখ।

৩. আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই জাঁকজমকবিহীন কবর জিয়ারত করা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাউকে না জানিয়ে একাকি জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে কবর যিয়ারাত করেছিলেন। এমনকি হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকেও জানাননি।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।