হজে যাওয়ার পূর্বে নসিহত অসিয়ত ও তাওবা


প্রকাশিত: ০৭:৫৩ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৬

হজ শারীরিক ও আর্থিক ইবাদাত। যা সামর্থবানদের জন্য জীবনে একবার আদায় করা ফরজ। কোনো মুসলমান যখন হজ বা ওমরা যাওয়ার জন্য ইচ্ছা করেন, তখন তাঁর উচিত স্বীয় পরিবার-পরিজন এবং সঙ্গী-সাথীগণকে নসিহত, অসিয়ত ও তাওবার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা। যা তুলে ধরা হলো-

নসিহত
হজ ও ওমরা পালনে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পূর্বেই পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে তাকওয়া অবলম্বন তথা আল্লাহর ভয়ের ব্যাপারে উপদেশ দেয়া। আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং তাঁর নিষিদ্ধ কার্যাবলী থেকে বিরত থাকার জন্য এ নসিহত প্রদান করা জরুরি।

অসিয়ত
হজ বা ওমরায় গমনকারীর উচিত, কোনো কারণে কারো সঙ্গে যদি তাঁর দেনা-পাওনা থাকে, যা তাৎক্ষনিক পরিশোধ করার কোনো সুযোগ না থাকে; সে ক্ষেত্রে তাঁর সম্পদের ওয়ারিশগণকে ডেকে বা লিখিতভাবে তা জানিয়ে দেয়া এবং এ ঋণ বা অসিয়তের ব্যাপারে সাক্ষী রাখা অত্যন্ত জরুরি কাজ। এ অসিয়ত হজে গমনের পূর্বেই সম্পন্ন করা।

তাওবা
হজ বা ওমরার যাত্রীর জন্য আবশ্যক কাজ হলো সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে পরিপূর্ণ তাওবা করা। জীবনের ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়-অপরাধের কথা স্মরণ করে, জীবনে আর কোনো অন্যায় না করার নিয়ত করে, আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ তাওবা করা একান্ত জরুরি।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর; সম্ভবত তোমরা কামিয়াব হবে। (সুরা নুর : আয়াত ৩১)

বিশেষ করে হজ ও ওমরা পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি নিজে তাওবা করবে এবং তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং সঙ্গী-সাথীদেরকেও তাওবার উপদেশ দিবে।

আল্লাহ তাআলা হজ ও ওমরা পালনে ইচ্ছুকদেরকে এ কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।