রোগমুক্তির কুরআনি আমল
আল-কুরআন মানুষের জীবন পরিচালনার গাইড। মানব জীবনে এমন কিছু নেই যার সমাধান কুরআনে আসেনি। মানুষ যদি কুরআন অনুযায়ী জীবন সাজাতে চায়; আল্লাহ তাআলা মানুষকে সেভাবেই কুরআনের উপকার দান করেন।
কুরআনে এমন কিছু আয়াত আছে যেগুলো অনেক রোগ-ব্যাধির জন্য শিফাস্বরূপ। দুনিয়ায় অনেক রোগের শিফা ওষুধে হয় না। আল্লাহর রহমতে কোনো বান্দা যদি তাঁর বিধান পালনের সঙ্গে রোগমুক্তিতে কুরআনি আমল করেন তবে সে ব্যক্তি অনেক কঠিন রোগ-ব্যাধি থেকে সুস্থতা লাভ করবেন। কুরআনের এ আমলগুলো তুলে ধরা হলো-
বিসবিল্লাহসহ সুরা ফাতিহা ১ বার-
সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত ৭ বার
উচ্চারণ : ওয়া ইয়াশফি সুদুরা ক্বাওমিম মু’মিনিন।
সুরা ইউনুছের ৫৭নং আয়াত ৭ বার
উচ্চারণ : ওয়া শিফাউল লিমা ফিস সুদুরি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল-মু’মিনিন।
সুরা নহলের ৬৯ নং আয়াত ৭ বার
উচ্চারণ : ইয়াখরুঝু মিম বুতুনিহা শারাবুম মুখতালিফুন আ’লওয়ানুহু ফিহি শিফাউ লিন-নাস।
সুরা শুআরা’র ৮০নং আয়াত ৭ বার
উচ্চারণ : ওয়া ইজা মারিদতু ফাহুয়া ইয়াশফিনি।
সুরা বনি ইসরাইলের ৮২নং আয়াত ৭ বার
উচ্চারণ : ওয়া নুনাযযিলু মিনাল কুরআনি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতুল লিল-মু’মিনিন।
সুরা ফুসসিলাতের ৪৪নং আয়াত ৭ বার
উচ্চারণ : কুল হুয়া লিল্লাজিনা আমানু হুদাও ওয়া শিফা।
সুতরাং সুরা ফাতিহা এবং উল্লেখিত আয়াতগুলো পাঠ করে কোনো একটি পানিভর্তি পাত্রে দম করে সে পানি পান করলে আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে শিফা দান করবেন।
তবে, হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতাকে মর্যাদা দেয়া আবশ্যক এবং সুস্বাস্থ্য আল্লাহ তাআলার নিয়ামত। সবার জন্যই এ নিয়ামাতের মূল্যায়ন করা উচিত।
পরিশেষে...
অসুস্থ হয়ে গেলে এ অসুস্থতা নিজের কারণে এসেছে বলে বিশ্বাস করা এবং সুস্থ হয়ে উঠলে এ সুস্থতা আল্লাহ তাআলার দান বলে বিশ্বাস করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালনের পাশাপাশি কুরআনি আমল করলে যাবতীয় রোগ-ব্যাধি থেকে শিফা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি