অবৈধ উপায়ে সম্পদ লাভে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা


প্রকাশিত: ০৭:০৩ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৬

আল্লাহ তাআলা রোজার বিধান প্রবর্তন করেছেন আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের জন্য। আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের পর আল্লাহ তাআলা মানুষের অর্থসম্পদের পবিত্রকরণ সম্পর্কে বিধান জারি করেছেন। রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় যেমন পানাহার করা হারাম। ঠিক তেমনি হারাম মাল জীবনে কখনো খাওয়া যাবে না। এমনকি হারাম সম্পদ খাওয়ার কোনো সময়সীমা নেই। তাছাড়া চুরি, খেয়ানত, প্রতারণা, সুদ, ঘুষ, জুয়াসহ কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেনই করা যাবে না। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা হারাম ভক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন-

Quran

আয়াতের অনুবাদ

Quran

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ১৮৮নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা অর্থসম্পদ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এ আয়াতে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যার কাছে অপরের কোনো প্রাপ্য থাকে; কিন্তু প্রাপকের কাছে তার প্রাপ্য অধিকারের (সম্পদের) কোনো প্রমাণ থাকে না।’

ফলে এ দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে ওই ব্যক্তি আদালতের আশ্রয় নিয়ে বিচারকের মাধ্যমে নিজের পক্ষে ফায়সালা সাব্যস্ত করে এবং এভাবে সে প্রাপকের অধিকার হরণ করে নেয়।

এভাবে সম্পদ ভোগ করা জুলুম ও হারাম। এ কথা সর্বজন বিদিত, আদালতের ফয়সালা জুলুম ও হারামকে বৈধ এবং হালাল করতে পারবে না। এ অত্যাচারী ব্যক্তিরা আল্লাহর কাছে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। (ইবনে কাসির)

পড়ুন- সুরা বাকারার ১৮৭নং আয়াত

পরিষেশে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অবৈধ উপায় অবলম্বন না করে বৈধভাবে সম্পদ লাভ এবং জীবন-যাপন করার পাশাপাশি অন্যায়, অত্যাচার, সুদ-ঘুষ, চুরি-ছিনতাইসহ সব ধরনের অন্যায় থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।