কুরআনে রোজা পালনের বিধান


প্রকাশিত: ০৫:২৩ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৬

কুরআনুল কারিমের ধারাবাহিক আলোচনায় আজ সুরা বাকারার ১৮৩নং আয়াতে রয়েছে রোজা ফরজ হওয়া সম্পর্কিত বিধান। ইসলামের অন্যান্য বিধানের মতো রোজাও পর্যায়ক্রমে ফরজ হয়েছে। প্রথমদিকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদেরকে প্রতি মাসে মাত্র তিন দিন রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন এ রোজা ফরজ ছিল না।

কিন্তু দ্বিতীয় হিজরিতে রমজান মাসজুড়ে রোজা পালনের হুকুম সম্পর্কিত এ আয়াতটি নাজিল হয়। মুসলমানের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখার বিধান জারি করে আল্লাহ তাআলা বলেন-

Quran

আয়াতের অনুবাদ

Quran

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ১৮৩নং আয়াতে রোজা ফরজ হওয়ার বিষয়ে বিধান জারি হয়। এ বিধান প্রবর্তনের পূর্বে মুসলমানদের জন্য মাসে তিনদিন রোজা রাখা আবশ্যক ছিল। পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা বিধান নাজিল করেন যে, রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখা ফরজ। যারা রোজা পালন করবেন তারাই তাকওয়া অর্জন করবেন।

রোজা আদি পিতা হজরত আদম আলাইহি সালামের সময় থেকেই প্রবর্তিত এবং প্রচলিত রয়েছে। মানব জীবনকে পূতঃ পবিত্র করে গড়ে তোলার অত্যন্ত কার্যকরী পন্থা হলো রমজানের রোজা পালন। আর রমজানের রোজা পালনের কারণেই আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রহমতের দ্বারসমুহকে উন্মুক্ত করে দেন। এ রোজাই মানুষকে বেহেশতি সওগাত লাভের উপযুক্ত করে তোলে।
পড়ুন- সুরা বাকারা : আয়াত ১৮১ ও ১৮২

পরিষেশে...
আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের আগে থেকে শুরু করে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ত্যাগ করে, যৌনবাসনা পূরণ করা থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করা। আর এ কারণেই রোজা পালনের মাধ্যমে মানুষের আত্মা পূতঃপবিত্র হয়। তাকওয়া, পরহেজগারী তথা আল্লাহর ভয় অর্জন হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজা পালনের মাধ্যমে তাঁর হুকুম পালনসহ চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনে বিনয়ী ও তাকওয়া অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।