কে এই সামেরি?


প্রকাশিত: ০৭:৫০ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন আল্লাহর নির্দেশে চল্লিশ দিনের জন্য তুর পাহাড়ে যান। তখন তার অবর্তমানে যে ব্যক্তি গো-বাছুরের প্রতিমূর্তি তৈরি করে বনি ইসরইল জাতিকে শিরকের গোনাহে লিপ্ত করেছিল তার নাম সামেরি। তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো-

তারা নাম মুসা সামেরি। আসল নাম মুসা। হজরত মুসা আলাইহিস সালামের নামের সঙ্গে তার মিল ছিল। সে ছিল মুসা আলাইহিস সালামের যুগের সবচেয়ে বড় মুনাফিক।

জন্মগতভাবে সে ছিল পিতৃ পরিচয়হীন। বংশগতভাবে ছিল ইসরাইলি। তার মা লোক লজ্জা ও দুর্নামের ভয়ে পাহাড়ের গুহায় তাকে প্রসব করে সেখানেই ফেলে রেখে এসেছিল।

আল্লাহ তাআলা তাকে হজরত জিবরিল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে লালন-পালন করে বড় করেছেন। সে ছিল পেশায় স্বর্ণকার। স্বর্ণালংকার তৈরি করেই তার জীবিকা নির্বাহ হতো।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন তাওরাত লাভে তুর পাহাড়ে গেলেন। তখন গো-বাছুরের প্রতিমূর্তি তৈরি করে। ঐ সময়ে সে তার জাতিকে গো বাছুরের প্রতিমূর্তির উপাসনার মাধ্যমে একটি নতুন হাঙ্গামায় লিপ্ত করে দিলো। যার দ্বারা হজরত মুসা আলাইসি সালামের প্রতিষ্ঠিত তাওহিদের ভিত্তি প্রকম্পিত হয় উঠলো।

মুসা আলাইহিস সালাম তাওরাত নিয়ে ফিরে এসে যখন এ অবস্থা দেখলেন, তখন তিনি অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে গেলেন। অতপর তাঁর জাতিকে শিরকের বিষয়টি বুঝানোর পর তারা তাওবা করে আবার আল্লাহর পথে ফিরে এসেছে।

ভাবনা বিষয়-
কাওমে ইসরাইলের দু’জন ব্যক্তির নামই মুসা। তাদের একজনের লালন পালন হয়েছে ফিরাউনের হাতে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে নবি ও রাসুল করে মর্যাদা দান করলেন। আর একজন ছিলেন পিতৃপরিচয়হীন। যাকে আল্লাহ হজরত জিবরিল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে লালন পালন করালেন, অথচ সে হলো সে যুগের কুচক্রী, মুনাফিক।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক যুগের মুনাফিক ও কুচক্রী থেকে ঈমানদারের ঈমানকে হিফাজত রাখার এবং ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফিক ও সাহায্য দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।