সফলতা-বিতর্কের মিশেলে প্রশাসনের বিদায়ী বছর
চিরাচরিত নিয়মে কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটি বছর। বিদায় নিচ্ছে ২০২১। বছরটিতে বিভিন্ন খাতের মতো প্রশাসনেও ছিল নানা ঘটনার ঘনঘটা। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চলতি বছর চার মাসেরও বেশি সময় বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সরকারকে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন ও মহামারি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনই ছিল অগ্রগামী।
একই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব, কর্মকর্তাদের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আলোচনা-সমালোচনা ছিল প্রায় বছরজুড়ে। সাংবাদিক নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও একজন কর্মকর্তার দণ্ড মওকুফের বিষয়টি জন্ম দেয় সমালোচনার।
চলতি বছরই সামনে আসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার ইস্যুটি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েবের বিষয়টিও ছিল ২০২১ সালের আলোচিত বিষয়। একই সঙ্গে অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রশাসনের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা পেয়েছেন পদোন্নতি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামালে প্রশাসন
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ফের উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন দেয় সরকার। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।
পরে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। কয়েক দফায় শিথিলতাও আনা হয় বিধিনিষেধে। শেষে গত ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ ৫ আগস্ট থেকে আরও পাঁচদিন বাড়ানো হয়। বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হয় গত ১০ আগস্ট। এরপর গত ১১ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা, গণপরিবহন, দোকান ও শপিংমলসহ মোটামুটি সবই খুলে দেওয়া হয়।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর্মীদের পর প্রশাসনই ছিল অগ্রগামী। মাঠে কাজ করতে গিয়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে করোনায় আক্রান্ত হতে হয়েছে। কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণও করেছেন।
লকডাউনে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা
বরিশালে ইউএনও-মেয়র দ্বন্দ্ব, অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক
চলতি বছর বরিশালে ইউএনও-মেয়র দ্বন্দ্বের বিষয়টি একটি আলোচিত ঘটনা। ১৮ আগস্ট রাতে বরিশালের সিঅ্যান্ডবি সড়কে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে শোক দিবসের ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনেও হামলা করা হয়।
পরদিন বাসভবনে হামলার ঘটনায় মামলা হয়। মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে হুকুমের আসামি করা হয়।
বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গন ও প্রশাসনে আলোচনার জন্ম দেয়। এই প্রেক্ষাপটে ১৯ আগস্ট রাতে এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো প্রেস রিলিজে বলা হয়, ‘মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও তার দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের দিয়ে নানা প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং সমস্ত জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
এ বিবৃতি রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনেকটা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। প্রশাসনের অনেকে এই বিবৃতিকে ভালোভাবে নেয়নি। যদিও পরে জানা যায়, ইউএনও মুনিবুর রহমানকে ঘটনার আগেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।
সামনে আসে সরকারি চাকুরেদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার ইস্যু
সরকারি চাকরিজীবীদের (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) সম্পদের হিসাব দেওয়ার ইস্যুটি এবছরই সামনে আসে। ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না, এ বিষয়ে সরকারেরও কোনো তদারকি নেই।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান
এই প্রেক্ষাপটে বিধিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চলতি বছরের ২৪ জুন চিঠি পাঠানো হয়।
এরপরই বিষয়টি নিয়ে নানা কল্পনা-জল্পনা শুরু হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। তাই সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
আলোচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েব
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব বা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি চলতি বছরে প্রশাসনের অন্যতম আলোচিত ঘটনা। গত ২৮ অক্টোবর স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে নথি হারানোর বিষয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা কয়েকজন কর্মচারীকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে।
সাতকানিয়ায় ওএসডি হওয়া ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম
নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু গায়েব হওয়া ফাইল এখনো উদ্ধার হয়নি।
বিতর্কিত নানা কাজে সমালোচনায় কর্মকর্তারা
চলতি বছর সচিব থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নানা কর্মকাণ্ড সমলোচনার জন্ম দেয়। করোনা আক্রান্ত হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনা ইউনিটে ভর্তি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব রওনক মাহমুদের মায়ের সেবায় এক উপ-সচিবসহ ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা বড় ধরনের সমালোচনার জন্ম দেয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, লিখিত নির্দেশনা দিয়ে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট তিনদিনের জন্য চার শিফটে ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেওয়া বিধিনিষেধের মধ্যে গত ২ জুলাই ফার্মেসিতে চেম্বারে যাওয়ার পথে ডা. ফরহাদ কবির সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলামের চেকপোস্টে তল্লাশির মুখে পড়েন। ইউএনও ডা. ফরহাদের পরিচয় জেনেও তাকে জরিমানা করেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী চিকিৎসক পরদিন শনিবার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিলে আলোচনার ঝড় ওঠে।
পরে ৪ জুলাই ইউএনও নজরুল ইসলামকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বুড়িচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ সাবিনা
ফুলগাছ খাওয়ার অভিযোগে গত ১৭ মে বগুড়ার আদমদীঘির ইউএনও সীমা শারমিন একটি ছাগলের মালিকের ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা করার ৯ দিন পর মালিক সাহারা বেগমকে না জানিয়ে সেটি বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। পরদিন ২৭ মে সেই জরিমানার টাকা নিজে পরিশোধ করে ছাগলটি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেন ইউএনও। পরে ইউএনও সীমা শারমিনকে বদলি করা হয়।
চলতি বছরের ৪ অক্টোবর কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ইউএনও মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনকে ‘আপা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। এতে রেগে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ‘মা’ ডাকতে বলেছেন ওই ইউএনও। ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিন বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
গত ৩০ মে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাশও একই আচরণ করেন। এক সাংবাদিক ‘স্যার’ না ডেকে ভাই বলে সম্বোধন করায় আপত্তি তোলেন তিনি। ওই সময় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ বলেন, ‘আপনাদের ভাই বলে ডাকার রেওয়াজ আর গেলো না। আপনি জানেন এই চেয়ারে বসতে আমাদের কত কষ্ট করতে হয়েছে?’
গত ৮ জুলাই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লাকে ‘স্যার’ না বলে ‘আপা’ বলায় ইউএনও’র নির্দেশে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে সিঙ্গাইর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
গত ১৯ মে ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তা চান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকার ফরিদ আহমেদ। খাদ্য সহায়তা করতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন জানতে পারেন, সাহায্য চাওয়া ওই ব্যক্তি চারতলা বাড়ির মালিক এবং তিনি হোসিয়ারি কারখানার মালিক। তখন সদরের ইউএনও আরিফা জহুরা ৩৩৩-এ কল করে অযথা হয়রানি ও সময় নষ্ট করার দায়ে ফরিদ আহমেদকে শাস্তি হিসেবে ১০০ গরিব লোকের মধ্যে খাদ্যসহায়তা বিতরণের নির্দেশ দেন।
ইউএনও আরিফা জহুরা
ওই খাদ্যসহায়তা না করলে তিন মাসের কারাদণ্ড হতে পারে; এই ভয়ে ঋণ, সোনা বন্ধক ও সুদের ওপর টাকা নিয়ে এ সহায়তা করেন ফরিদ। পরে জানা যায়, এত সম্পদের মালিক নন ফরিদ। বিষয়টি সমলোচনার জন্ম দেয়। এ বিষয়ে তখন তদন্ত কমিটিও গঠন করে জেলা প্রশাসন।
কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানার শাস্তি মওকুফ
একজন সাংবাদিককে হয়রানিমূলকভাবে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনের দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছিল।
সেই লঘুদণ্ডও বাতিল করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৩ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এর আগে গত ১০ আগস্ট সুলতানাকে দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
সুলতানার শাস্তি মওকুফ করার ঘটনায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো এর প্রতিবাদ জানায়। বিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজও প্রশ্ন তোলে।
কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা
বয়সের ছাড় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দিয়েছে সরকার। বয়সের ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে গত ১৯ আগস্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা গত বছরের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করার জন্য বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্য হবেন।
এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীরা করোনা মহামারির কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২১ মাসের ছাড় পাচ্ছেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নাম
তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এ বছর। নতুন নাম হয়েছে ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়’। ইংরেজিতে ‘Ministry of Information and Broadcasting’। গত ১৫ মার্চ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শাস্তি পেলেন জামালপুরের সাবেক ডিসি
নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে চলতি বছরই বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় সরকার।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাকে শাস্তি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। শাস্তি হিসেবে তার বেতন কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি চাকরিজীবনে আর কোনো পদোন্নতি পাবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
পদোন্নতি
২০২১ সালে প্রশাসনে সচিব থেকে উপসচিব পর্যন্ত সাড়ে ৬০০’র বেশি কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর ৩০ জন অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে। এছাড়া ৭ মার্চ ৩৩৭ কর্মকর্তাকে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ৯২ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর ২১৩ কর্মকর্তা উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব হন।
আরএমএম/ইএ/এএ/জেআইএম