নুরা পাগলা আর নুরাল পাগলা আলাদা ব্যক্তি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৫ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মেহেদী দাবি করা বিতর্কিত নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় অনেকেই তুলে ধরছেন বিচিত্রায় প্রকাশিত নুরা পাগলার কাহিনি। তবে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনোয়ার পারভেজ হালিম দাবি করেন, হাইকোর্টের সেই ‘নুরা পাগলা আর আর গোয়ালন্দের নুরাল পাগলা এক ব্যক্তি নন।’

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এমন দাবি করেন। তিনি লিখেছেন, ‘রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার মাজারে হামলা, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলার পর অনেকেই দেখছি বিচিত্রার একটি পুরোনো প্রচ্ছদ পোস্ট করেছেন। বিচিত্রা নুরা পাগলা ও পপ গায়ক আজম খানকে নিয়ে ১৯৭৩ সালে একটি কাভার স্টোরি করেছিল। পোস্টদাতাদের দাবি, বিচিত্রার সেই নুরা পাগলা আর গোয়ালন্দের নুরাল পাগলা একই ব্যক্তি। তাদের এই দাবি সঠিক নয়। মিথ্যা।

নুরা পাগলা আর নুরাল পাগলা আলাদা ব্যক্তি

বিচিত্রার নুরা পাগলা ছিলেন শিক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী (সূত্র: সৈয়দ তারিক)। যুদ্ধফেরত নুরা মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াতেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে হাইকোর্টের মাজারে। আধ্যাত্মিক গান করতেন। সেইসূত্রে তার সঙ্গে পপ গায়ক আজম খানের সাক্ষাৎ হয়। তাকে নিয়ে আজম খানের একটি বিখ্যাত গান আছে: ‘হাইকোর্টের মাজারে কত ফকির ঘোরে/ আসল আর কয়জন ফকির/ প্রেমের বাজারে কত প্রেমিক ঘোরে...’। বিচিত্রার রিপোর্টেও এসব উল্লেখ আছে।

২০০৮ সালের দিকে সর্বশেষ জেনেছিলাম, নুরা পাগলা অসুস্থ। গুলশানের শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সম্ভবত ওই সময়ে বা তার কিছু পরে তিনি মারা যান। তার ছোট ছেলে বাবার লাইনে আছেন বলে শুনেছি। নুরা পাগলাকে নিয়ে কিছু মিথ আছে। আবারও বলি, নুরা পাগলা আর নুরাল পাগলা এক ব্যক্তি না।’

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।