এবার রান পেলেন অমিত, আবারো হাসলো সোহানের ব্যাট

আগের দিন নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেছেন নাইম শেখ। আর অযথা অপ্রয়োজনীয় চটকদার শট খেলতে গিয়ে পঞ্চাশের পরপরই আউট হয়েছিলেন সাইফ হাসান। আর পঞ্চাশের দোরগোড়ায় গিয়ে শর্ট বলে হুক করার লোভ সামলাতে না পেরে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়।
আজ বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটারদের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আগের দিনের নটআউট ব্যাটার অমিত হাসান ৬০-এর ঘরে গিয়ে (৬৭) আউট হলেন। বৃহস্পতিবার শেরে বাংলায় মাত্র ২ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি হাতছাড়া বাংলাদেশ ‘এ’ দল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানেরও।
খেলছিলেন বেশ আস্থা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে। দেখে মনে হচ্ছিল, লম্বা এক ইনিংস বেরিয়ে আসবে অমিত হাসানের ব্যাট থেকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় সব ফরম্যাটে সব আসরেই তার ব্যাট থেকে রানের ফলগুধারা বয়। অনেকেই অমিত হাসানকে ভবিষ্যত টেস্ট ব্যাটার হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন।
কিন্তু সিলেটে প্রথম ৪ দিনের খেলায় নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি অমিত। তবে এবার ঢাকায় শেষ চারদিনের ম্যাচে দীর্ঘ সময় উইকেটে থেকে ১১০ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৬৭ রান করে অমিত জানান দিলেন, ‘তেড়েফুঁড়ে মেরে নয়। আমি লম্বা সময় উইকেটে থেকে দীর্ঘ ইনিংস খেলতে পারি ‘
কিন্তু দ্বিতীয় নতুন বলে বেশি সময় টিকতে পারেননি অমিত। কিউই পেসার বেন লেস্টারের ইনকাটারে ভাঙ্গে অমিতের ডিফেন্স। লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে শেষ হয় তার আদর্শ দীর্ঘ পরিসরের ইনিংস। তার আগে ৫০ বলে ২৪ করে আউট হন মাহিদুল ইসলাম অংকন।
৩১৮ রানের মাথায় অমিত আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একা হয়ে পড়েন অধিনায়ক সোহান। সিলেটে প্রথম চারদিনের ম্যাচে অংকনকে সাথে নিয়ে শতরান করা ‘এ’ দল অধিনায়ক অবশ্য আজ কোন যোগ্য সঙ্গী পাননি। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের প্রায় সবাই ফিরে গিয়েছেন আগে। সোহান যখন উইকেটে সেট হয়ে হাত খুলে খেলতে থাকেন, তখন অন্য প্রান্তে ছিলেন না স্পেশালিস্ট ব্যাটারের কেউ।
৩১৮ রানে অমিত হাসান আউট হলেন। ওদিকে যে ৩ বোলার ছিলেন সঙ্গী সেই নাসুম আহমেদ (০), নাইম হাসান (০) ও হাসান মুরাদ (২) কিছু করতে না পারলে সোহান একাই উইকেটের সামনে ও দুদিকে চালিয়ে খেলে সমান ৩টি করে ছক্কা ও বাউন্ডারিতে ৪০ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৩৫৭ রানে শেষ হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস।
কিন্তু কিউইরাও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৪। ওপেনার রেইস মারিউ ১৪ রানে পেসার খালেদের বলে আউট হলেও অপর ওপেনার কার্টিস হ্যাফি (৪১) আর ওয়ান ডাউনে নামা অধিনায়ক জো কার্টার (৪৮) অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন।
এআরবি/আইএইচএস/