লড়াইয়ের ময়দান

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম, আহমেদাবাদ

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪০ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৩

শহর পরিচিতি

গুজরাটের সবচেয়ে জনবহুল শহর আহমেদাবাদ। একই সঙ্গে ভারতের পঞ্চম জনবহুল শহর এটি। ভারতের অন্যতম অর্থনৈতিক ও শিল্প শহর। সর্বোচ্চ তুলা উৎপাদনে শহরটির স্থান দ্বিতীয়। যে কারণে একে ম্যাঞ্চেস্টার অব ইন্ডিয়া বলা হয়।

আহমেদাবাদ শহর দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। ২০১২ সালে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ শহরটিকে ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বাসযোগ্য শহর বলে উল্লেখ করে। আর ২০২২ সালে টাইম ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা ৫০ শহরের মধ্যে তালিকায় স্থান দেয়।

ক্রিকেট এমনিতেই ভারতের জনপ্রিয় খেলা। তবে আহমেদাবাদ শহরবাসীর কাছে ক্রিকেট জনপ্রিয়’র চেয়েও যেনো আরো বেশি কিছু।

স্টেডিয়াম পরিচিতি ও ইতিহাস

আসন সংখ্যা অনুসারে ভারতে তো বটেই, বিশ্বের সবচয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়াম। একসঙ্গে এক লাখ চৌত্রিশ হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারে। তবে সব ধরণের স্টেডিয়ামের বিচারে আহমেদাবাদের এই স্টেডিয়ামটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। পিয়ংইয়ংয়ে অবস্থিত স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা এক লাখ ৫০ হাজার দর্শক।

স্টেডিয়ামটি আগে সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়াম অথবা মোতেরা স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত ছিল। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর নামে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়। ২০১৫ সালে পুরনো স্টেডিয়াম ভেঙ্গে এটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।

১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নতুন করে এখানে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। আর এটির নামকরণ করা হয় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্মানার্থে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করে। মোদী ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ২০২০ সালে স্টেডিয়ামটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচটি এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। আবার এই মাঠেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে ভারত। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের হাইভোল্টেজ ম্যাচটিও এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পরিসংখ্যান

মোট ওয়ানডে ম্যাচ: ২৬
আগে ব্যাটিং করে জয়: ১৪
পরে ব্যাটিং করে জয়: ১২
প্রথম ইনিংসে গড় রান: ২৩৫
দ্বিতীয় ইনিংসে গড় রান: ২০৩

সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর: ৩৬৫/২ (৫০ ওভার), দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রতিপক্ষ ভারত, ২০১০।
সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর: ৮৫/১০ (৩০.১ ওভার), জিম্বাবুয়ে, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০০৬।

সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়: ৩২৫/৪ (৪৭.৪ ওভার), ভারত, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০০২।
সর্বনিম্ন রান করে জয়: ১৯৬/১০ (৪৮.৩ ওভার ওভার), ওয়েস্ট ইন্ডিজ, প্রতিপক্ষ ভারত, ১৯৮৮।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।