ফাঁকা স্টেডিয়ামে শাল্কের জালে গোলউৎসব করলো বরুশিয়া
করোনাভাইরাসকে জয় করা ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো অবশেষে জার্মানিতে। করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকার পরও ইউরোপিয়ান সেরা ৫টি লিগের একটি, জার্মান বুন্দেসলিগা মাঠে গড়ালো। দর্শকহীন, ফাঁকা স্টেডিয়ামে একসঙ্গে হয়ে গেলো ১০টি ক্লাবের ফুটবল ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয় ম্যাচগুলো। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তবে শুরু করা হয় জার্মান বুন্দেসলিগা। মাঠে ফুটবলারদের পক্ষে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। এ কারণে যতটা সম্ভব, সংযত থেকেই ফুটবল খেলেছে বুন্দেসলিগার ক্লাবগুলোর ফুটবলাররা।
এমনকি গোল উদযাপনেও বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা গেছে খেলোয়াড়দের। আগের মত আর গোল উদযাপনে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করা নয়, বরং দুরত্ব বজায় রেখেই হাত তালি দিয়ে গোল উদযাপন করতে দেখা গেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফুটবলারদের।
ফেরার প্রথম দিনই সবচেয়ে বড় ম্যাচ ছিল শাল্কে জিরোফোরের বিপক্ষে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ম্যাচ। এই ম্যাচে শাল্কের জালে রীতিমত গোল উৎসব করেছে বরুশিয়ার ফুটবলাররা। ৪-০ গোলে শাল্কেকে হারিয়েছে বরুশিয়া।
জোড়া গোল করেছেন রাফায়েল গুয়েরেইরো। এছাড়া একটি করে গোল করেছেন আরলিং হাল্যান্ড এবং থোরগান হ্যাজার্ড। এই জয়ের ফলে দ্বিতীয় স্থানে নিজেদের অবস্থান আরও সংযত করলো বরুশিয়া। ২৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৫৪। মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে তারা বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ে। ২৫ ম্যাচে বায়ার্নের পয়েন্ট ৫৫।
ম্যাচের দুই অর্ধে ২টি করে গোল করেছে বরুশিয়া। ২৯ মিনিটে গোল করে প্রথমে বরুশিয়াকে এগিয়ে দেন আরলিং হল্যান্ড। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে (৪৫ মিনিটে) দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন রাফায়েল গুয়েরেরো। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ৪৮ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন থোরগান হ্যাজার্ড। ৬৩ মিনিটে গোল চতুর্থ গোল করেন রাফায়েল গুয়েরেরো।
অন্য ম্যাচগুলোতে এফসি অগসবার্গকে ২-১ গোলে হারিয়েছে উলফসবার্গ। প্যাডারবর্নের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ফরচুনা ডাসেলডর্ফ। আরবি লেইপজিগের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে এসসি ফ্রেইবার্গের সঙ্গে। হফেনহেইমকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে হার্থা বার্লিন।
রাত সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে আরো একটি ম্যাচ। ওই ম্যাচে মুখোমুখি হবে এইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং বরুশিয়া মনচেনগ্ল্যাডবাখ। আজ একই দিনে মাঠে গড়িয়েছে জার্মান বুন্দেসলিগা দ্বিতীয় বিভাগের ম্যাচও। সেখানেও অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৪টি ম্যাচ।
আইএইচএস/