ঈশ্বরদীতে বিষপানে শিশুপুত্রসহ মায়ের আত্মহত্যা
ঈশ্বরদীতে স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে বিষপানে পাপিয়া খাতুন (২৮) ও শিশুপুত্র জীবন (১ বছর ৪ মাস) মারা গেছে। অপর ছেলে ইমন (৪) আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের বহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উন্নয়ন সংস্থা নিউ এরা ফাউন্ডেশনের লালপুরের হিসাবরক্ষক মিজানুর রহমানের সঙ্গে একই এলাকার পাপিয়া খাতুনের প্রেম করে বিয়ে হয়। তাদের তিনটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কন্যা সন্তান না হওয়ায় স্বামী মিজানের মধ্যে অসন্তোষ ছিল বলেও জানা যায়।
এদিকে, লালপুরে চাকুরির সূত্র ধরে ওই এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার সঙ্গে মিজানের নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মিজান প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। পাপিয়ার সঙ্গে মিজানের এই নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে পাপিয়া নিজে এবং তার ৪ বছরের ২য় সন্তান ইমন এবং ষোল মাসের জীবনকে বিষপান করিয়ে নিজেও আত্মহত্যার জন্য বিষ খায়। এতে পাপিয়া ও ছোট ছেলে জীবনের প্রাণহানি ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২য় ছেলে ইমন পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি রযেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থকে মিজানের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমএস