পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা চলে না
বইয়ের মেলা। এখানে সত্যই বড় সত্য। বইয়ের মধ্য দিয়ে লেখক সত্যটাই তুলে ধরেন। পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা চলে না। পাঠকের কথা মাথায় রেখেই বই রচনা করতে হয়। লেখার মানের প্রসঙ্গ টেনে কথাগুলো বলছিলেন তরুণ লেখক-কবি পিয়াস মজিদ।
শুক্রবার বিকেলে জাগো নিউজের স্টলে বইমেলার সার্বিক বিষয়ে নিয়ে একান্ত আলাপে মিলিত হন তিনি। এবারের মেলায় তার ‘নগর ঢাকায় জনৈক জীবনানন্দ’ (অন্য প্রকাশ), ‘এলোমেলো ভাবনাবৃন্দ’ (ঐতিহ্য) এবং ‘কবিকে নিয়ে কবিতা’ (সময় প্রকাশনী) শিরোনামের তিনটি বই প্রকাশ পেয়েছে।
তরুণ এই লেখক বলেন, এবারের মেলা সত্যিকার মেলার পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার পরিধি বেড়েছে। স্টলগুলো সাজানো হয়েছে বিশেষ নকশায়। দর্শক প্রাণ খুলে মেলায় ঘুরতে পারছে। কোনোই বিরক্তি নেই। বিশেষ করে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝের রাস্তাটি ফাঁকা থাকায় সহজেই চলাফেলা করতে পারছে দর্শনার্থীরা।
এবারের মেলায় প্রচুর বই এসেছে এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাঠক বাড়ছে। বাড়ছে লেখকের সংখ্যাও। মানুষে মানুষে বন্ধন সৃষ্টিতে বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং এই ভূমিকায় সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে অমর একুশে বইমেলা।
তিন দশকের মেলা আজ পরিপূর্ণ রূপে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে লেখক বলেন, অনেক দেশেই এর চেয়ে বড় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় নিয়ে আর কোনো দেশে বইমেলা হয় না। অমর একুশে বইমেলার এটিই হচ্ছে বিশেষত্ব।
পিয়াস মজিদ বলেন, বইমেলার মধ্য দিয়ে শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে। এ কারণেই পাঠকের দিক গুরুত্ব দিয়েই বই রচনা করতে হয়। অভিযোগ উঠেছে মেলায় প্রচুর মানহীন বই এসেছে। এটি ভালো লেখকদের বিব্রত করে। বই পড়ে মানুষ আত্মার খোড়াক মেটায়। বই দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা যায় না। বই কিনে কোনো পাঠক একবার প্রতারিত হলে দ্বিতীয়বার আর ওই লেখকের বই কিনতে চাইবে না।
এএসএস/একে/এমএস