ইডেনে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবারও হুমকি!


প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৬

আবারো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে ঘোর সংশয়। ভারতের উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠিগুলো হুমকি দিয়েছে, ইডেনেও পাকিস্তানকে খেলতে দেওয়া হবে না। দু’দিন আগেই তারা জানিয়েছিল, প্রয়োজনে ইডেনের উইকেটও খুঁড়ে ফেলবে। অ্যান্টি টেরোরিস্ট ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (এটিএফআই) নামের জঙ্গি সংগঠনটি এবার কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি লিখেছে, তিনি যেন ইডেনে পাক-ভারত ম্যাচ আয়োজনে সর্বাত্মক বাধা প্রদান করেন। এটিএফআই প্রথম থেকেই ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের খেলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

ধর্মশালার ম্যাচ নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছিল তারা। যদিও ধর্মশালায় উইকেট খুঁড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছিল স্থানীয় উগ্রপন্থী গোর্খি সম্প্রদায়। ইডেনের উইকেট খুঁড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছিল এটিএফআই। এতেও যখন তারা দেখলো ইডেনে পাক-ভারত ম্যাচ আয়োজনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন, তখ তারা পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে পাকিস্তানকে কলকাতায় আসার অনুমতি না দেয়ার জন্য।

চিঠিতে তারা লিখেছে, ‘পাকিস্তানকে ভারতের মাটিতে আতিথ্য দেওয়ার মানে হলো সাম্প্রতিক আক্রমণে আমাদের যে বীর যোদ্ধারা শহীদ হয়েছে, তাদের স্মৃতির প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি যেন পাকিস্তানকে কোন রকম নিরাপত্তা না দেয়।’

এটিএফআইর সভাপতি আরো জানিয়েছেন পাকিস্তানের কলকাতায় আসা তারা যেকোন মূলে ঠেকাবেন। পুরো কোলকাতায় তারা প্রতিবাদের আয়োজন করবেন। ইডেন গার্ডেনের বাইরে, টিম হোটেল, এমনকি এয়ারপোর্টেও সমাবেশ করার হুমকি দেন তারা।  

এটিএফআই ভারতের কেন্দ্রী সভাপতি বীরেশ সানদিল্য সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে আরো বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে ভারতের মাটিতে আতিথ্য দেওয়ার মানে হলো সাম্প্রতিক আক্রমণে আমাদের যে বীর যোদ্ধারা শহীদ হয়েছে, তাদের স্মৃতির প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা। যে কোনো মূল্যে এই ম্যাচটি আমরা হতে দেব না, ইডেনের পিচ আমরা খুঁড়ে ফেলব। বড় ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে শনিবার ভারত পৌছানোর কথা রয়েছে পাকিস্তান দলের। সেখান থেকে কলকাতায় যাবেন তারা। সেখানে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে পাকিস্তান।

আরআর/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।