তদন্ত কর্মকর্তার বৈধতা নিয়ে খালেদার আবেদন শুনানি পিছিয়েছে


প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৬

বিচার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে থাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হিসেবে দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনের শুনানি দুই সপ্তাহ পিছিয়েছেন আদালত।

তার আইনজীবীর করা সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সময় মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
 
এদিন আদালতের শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সময় চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, আগামী ২৩ ও ২৪ তারিখে বার কাউন্সিলের নির্বাচন। নির্বাচনী কাজে ব্যস্ততার জন্য শুনানি মূলতবি রাখা হোক। পরে আদালত সময় মঞ্জুর করেন।

রিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে এই মামলা বাতিল চাওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পান সংস্থাটির উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। তাকে নিয়োগ দেন আরেক উপ-পরিচালক মো. আকরাম হোসেন।
 
মামলা বাতিলের আবেদনে বলা হয়, দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে দুদক কমিশন। আর কমিশন বলতে তিন কমিশনারকে বোঝায়। অতএব হারুন-অর-রশিদের নিয়োগ কমিশনের নয়।

তার আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে গত ৯ মার্চ (বুধবার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।  

ওইদিন মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, দুদক আইন অনুযায়ী কোনো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের এখতিয়ার কেবল কমিশনের। অথচ এই মামলায় দুদকের উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশীদকে নিয়োগ করেন আরেক উপ-পরিচালক আকরাম হোসেন। এমনকি নিয়ম থাকলেও তার নিয়োগে কমিশন থেকে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। তাই এই নিয়োগ আইনানুগ না হওয়ায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।  

ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ আদালতে মামলাটি চলছে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের সব সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। বর্তমানে তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের জেরা চলছে। বৃহস্পতিবার মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন; খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এফএইচ/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।