লড়াই করেই হারলো আফগানিস্তান


প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৬

দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ ভয় পাইয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান। আগের ম্যাচে ২২৯ রান করে হেরে যাওয়ার পর আজও যখন তাদের করা ২০৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানরা যেভাবে সূচনা করেছিল, তাতে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক প্রোটিয়াদের জন্য। শেষ পর্যন্ত সেই ভয় কাটিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৭ রানে হারাল আফগানদের।  

তবে হারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করেছে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ শাহজাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর গুলবাদিন নাইব, নুর আলী জাদরান ও সামিউল্লাহ সানওয়ারির ছোট ছোট ইনিংসে প্রোটিয়াদের কাঁপিয়ে দিয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। শেষ পর্যন্ত ৩৭ রানের পরাজয় বরণ করলেও সাহসী মানসিকতায় প্রশংসাই পেয়েছে দলটি। এ হারে কার্যত শেষ হয়ে গেল আফগানদের সেমিফাইনালে খেলার আশা। অপরদিকে এ জয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলো প্রোটিয়ারা।

২১০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে থাকা শাহজাদের ব্যাটিং ঝড়ে প্রথম তিন ওভারেই ৪৮ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। দলীয় ৫২ রানে ক্রিস মরিসের বলে শাহজাদ আউট হলে খেলায় ফিরে আসে প্রোটিয়ারা। তবে মাত্র ১৯ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন এ ওপেনার। এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি আফগানদের অধিনায়ক আসগার স্টানিকজাইও। দলীয় ৬০ রানের মাথায় আউট হন তিনি।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে গুলবাদিন নাইব ও নুর আলী জাদরান দলের হাল ধরেন। ৪৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তারা। তবে ৪ রানের ব্যবধানে দুই ব্যাটসম্যান দ্রুত বিদায় নিলে চাপে পড়ে আফগানরা। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩১ রান করে সে চাপ সামলে নেবার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নবি ও সামিউল্লাহ সেনওয়ারি; কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। গুলবাদিন নাইব ২৬, নুর আলী জাদরান ২৫ ও সামিউল্লাহ সেনওয়ারি ২৫ রান করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ক্রিস মরিস ২৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। এছাড়া কাইল অ্যাবোট ও ইমরান তাহির ২টি করে উইকেট পান।

এর আগে রোববার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২৫ রানে হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শাপুর জাদরান। এরপর অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুইন্টন ডি কক।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৫ রান দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান এ দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৯০ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস। তবে এর আগে ২৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪১ রান করেন তিনি। ডি কক করেন ৪৫ রান। ৩১ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

এর পর জেপি ডুমিনিকে নিয়ে ব্যাটিং ঝড় তুলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন এ ব্যাটিং দানব। মাত্র ২৯ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে এ রান সংগ্রহ করেন তিনি। তার আগে ২৪ বলে পূরণ করেন হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলক। ডুমিনি ২০ বলে ২৯ রান করেন। এছাড়া শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মিলার করেন ৮ বলে ১৯ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে দৌলত জাদরান, মোহাম্মদ নবি, শাপুর জাদরান ও আমির হামজা ১টি উইকেট নেন।

আরটি/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।