কোন বাইক আপনার জন্য উপযুক্ত বুঝবেন কীভাবে?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে মোটরসাইকেল এখন শুধু বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজনীয় একটি বাহন। তবে বাজারে অসংখ্য ব্র্যান্ড ও মডেলের বাইক থাকায় নিজের জন্য উপযুক্ত বাইকটি বাছাই করা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। একেক জনের প্রয়োজন, বাজেট ও পছন্দ একেক রকম। তাই বাইক কেনার আগে নিজের প্রয়োজন ও সক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।

চলুন দেখে নিই, কোন বাইকটি আপনার জন্য উপযুক্ত, তা কীভাবে বুঝবেন-

বিজ্ঞাপন

১. আপনার প্রয়োজন বুঝুন

প্রথমেই ভাবুন, আপনি বাইকটি কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন। যেমন-

>> দৈনন্দিন অফিস বা কলেজে যাতায়াত: ফুয়েল-ইকোনমি ভালো, হালকা ও সহজে চলাচলযোগ্য বাইক বেছে নিন। যেমন: হোন্ডা সিবি শাইন, হিরো স্প্লেন্ডার, ইয়ামাহা স্যালুটো।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

>> দূরপাল্লার ভ্রমণ বা ট্যুর: শক্তিশালী ইঞ্জিন ও আরামদায়ক রাইডিং পজিশনের বাইক দরকার। যেমন: বাজাজ অ্যাডভেঞ্চার, সুজুকি জিক্সার এসএফ, ইয়ামাহা এফজেডএস।

>> স্পোর্টস বা রেসিং: উচ্চ পারফরম্যান্স ও স্পোর্টি লুক চাইলে নিতে পারেন ইয়ামাহা আর১৫, কেটিএম আরসি ২০০ বা টিভিএস অ্যাপাচি আরআর ৩১০।

>> পারিবারিক বা বহনযোগ্য মালামালের জন্য: বড় সিট, ভালো সাসপেনশন ও বেশি লোড সহ্য করতে পারে এমন বাইক দরকার, যেমন- বাজাজ প্লাটিনাম বা টিভিএস ম্যাক্স।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২. ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি নির্বাচন করুন

আপনার অভিজ্ঞতা ও চলাচলের ধরন অনুসারে সিসি বেছে নিন। যেমন- নতুন রাইডার, অফিস বা শহরের ভেতরে ব্যবহারের জন্য আদর্শ হচ্ছে ১০০–১২৫ সিসি। ফুয়েল খরচ কম হবে এতে। ব্যালান্সড পারফরম্যান্স ও কমফোর্টের জন্য ১৫০–১৬০ সিসি। অভিজ্ঞদের জন্য উপযুক্ত। ২০০ সিসি ও এর বেশি দীর্ঘপথ, হাইওয়েতে রাইডিং বা স্পোর্টস ইউজের জন্য ভালো।

৩. বাইকের উচ্চতা ও ওজন মিলিয়ে দেখুন

যারা তুলনামূলকভাবে খাটো, তাদের জন্য বেশি লম্বা বাইক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বাইকে বসে দু’পা যেন আরামে মাটিতে পড়ে, সেটা নিশ্চিত করুন। যেমন- আপনার উচ্চতা যদি ৫.৩ ইঞ্চি-৫.৫ ইঞ্চি হয়, তাহলে টিভিএস রেডন, হোন্ডা শাইন, বাজাজ প্ল্যাটিনা প্রভৃতি উপযুক্ত হতে পারে।

৪. মাইলেজ ও ফুয়েল ইকোনমি বিবেচনায় রাখুন

বর্তমান জ্বালানির দামের বাজারে বেশি মাইলেজ দেওয়া বাইক হলে তা দীর্ঘমেয়াদে আপনার জন্য সাশ্রয়ী হবে। ৫০-৭৫ কিমি/লিটার মাইলেজ পাওয়া বাইকগুলো যেমন- হিরো এইচএস ডিল্যাক্স, হোন্ডা এসপি১২৫ অনেক জনপ্রিয়।

বিজ্ঞাপন

৫. সাসপেনশন ও ব্রেকিং সিস্টেম খেয়াল করুন

খারাপ রাস্তার জন্য টেলিস্কোপিক বা মনোশক সাসপেনশন দরকার। সুরক্ষার জন্য ড্রাম ব্রেকের পরিবর্তে ডিস্ক ব্রেক বা এবিএসথাকা ভালো, বিশেষ করে হাইস্পিড বাইকে।

৬. বাজেট বিবেচনা করুন

বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ৬০ হাজার- ৯০ হাজার টাকা বাজেট হলে ১০০-১১০ সিসির বাইক নিন। যদি বাজেট হয় ১- দেড় লাখ টাকা। সেক্ষেত্রে ১২৫–১৫০ সিসি, দেড় লাখের উপরে হলে হাই পারফরম্যান্স বাইক ১৫০ সিসি+ নিন।

৭. বাইকের লুক ও স্টাইল আপনার সঙ্গে মানায় কি না

যদি বাইকের লুক ও ডিজাইন আপনার স্টাইল বা পছন্দের সঙ্গে না মিলে, তাহলে রাইডিংয়ে মনের আনন্দও থাকবে না। তাই বাইকের রং, হেডলাইট ডিজাইন, সাইলেন্সার, ট্যাঙ্ক ডিজাইন-সব মিলিয়ে আপনার রুচির সঙ্গে মানানসই কি না, যাচাই করুন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

সূত্র: রেট্রোস্পেস

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।