৬৫ বছর ধরে প্রথম কেনা গাড়ি আগলে রেখেছেন ধর্মেন্দ্র
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে চেনেন না এমন মানুষ বোধহয় বাংলায় কমই আছেন। অসংখ্য বক্সঅফিস কাঁপানো সিনেমা উপহার দিয়েছন তিনি। বিশেষ করে শোলে সিনেমার বীরু চরিত্রটি আজও দর্শকদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়। তবে জানেন কি অভিনেতার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য বিলাসবহুল গাড়ি। কিন্তু প্রথম কেনা গাড়িটি তিনি কখনো বিক্রি করেননি।
বলিউড সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর প্রথম গাড়িটি ছিল একটি ফিয়াট ১১০০ সেডান, যা তিনি তার স্ট্রাগলের বছরগুলোতে কিনেছিলেন। সেসময় এর দাম ছিল ১৮ হাজার রুপি। ১৯৬০ সালে এই গাড়ি কিনেছিলেন তিনি।
ধর্মেন্দ্রর ফিয়াট ১১০০-এর ছবি এবং স্মৃতিচারণমূলক বিবরণ তিনি তার অফিসিয়াল হ্যান্ডেলের মাধ্যমে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শেয়ার করেছেন। পোস্টে, বলিউডের এই প্রবীণ অভিনেতা তার ফিয়াট ১১০০ সেডানের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।বলিউডের হি-ম্যান বলেছেন, ১৮, হাজার রুপি সেই সময়ে অনেক টাকা ছিল তার কাছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গাড়ির পোস্টে তিনি বলেন এটি তার প্রিয় গাড়ি। ধর্মেন্দ্র এখনো গাড়িটিকে নতুনের মতো করে রাখেন। অতীত ঘাঁটলে দেখা যাবে, বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। এই গাড়িটি ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়িও চালিয়েছেন।
তবে এই ফিয়াট গাড়িটি ছিল তার জীবনের প্রথম গাড়ি, যা তিনি কিনে সবসময় নিজের কাছে রেখেছিলেন। এই গাড়ি প্রমাণ করে, হাজারো নতুনের ভিড়ে পুরোনোকে ভুলে যাননি বলিউড সুপারস্টার।

আজকের তরুণ প্রজন্মের পাঠকরা হয়তো ভাবতে পারেন যে ১৮ হাজার টাকা খুব বেশি কিছু নয়। তবে আগের দিনে, এটি ছিল একটি বিরাট অঙ্কের টাকার অংশ এবং গাড়ি কিনতে এই পরিমাণ খরচ করা ছিল একটি বিরাট ব্যাপার। ধর্মেন্দ্র তার পোস্টে শেয়ার করেছেন যে এই বিশেষ ফিয়াট ১১০০ সেডানটির গভীর আবেগগত এবং স্মৃতিকাতর মূল্য রয়েছে।
ধর্মেন্দ্রর মালিকানাধীন এই বিশেষ ফিয়াট ১১০০ গাড়িটির আরও মজার এবং আকর্ষণীয় দিক হলো, এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই গাড়িটি বিক্রি না করার কারণটি বলেছিলেন। অভিনেতা বলেন যে তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে একদিন তিনি অভিনয়ের কাজ হারাতে পারেন। তাই আর্থিক সংকট এড়াতে, তিনি তার গাড়িটি ব্যাকআপ হিসেবে রেখেছিলেন।
তিনি আরও বলেন যে যদি অভিনয়ে সবকিছু ঠিকঠাক না হয়, তাহলে তিনি এটিকে ব্যাকআপ ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
তার ফিয়াট ১১০০ গাড়িটি সেই যুগের স্ট্যান্ডার্ড সাদা বা কালো রঙে তৈরি করা হয়নি। বরং এটি জলপাই সবুজের মার্জিত ছায়ায় তৈরি করা হয়েছে এবং গ্রিল এবং অন্যান্য ট্রিমগুলোতে ব্রোঞ্জ/তামার আভাস রয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে এটি সম্ভবত প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিকে থাকার জন্য কোনো এক সময়ে পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল।
১৯৬০ সালে ফিয়াট ১১০০ সেডান বাজারে এনেছিল যার ৪-সিলিন্ডার ১,০৮৯ সিসি পেট্রোল ইঞ্জিন ছিল। এটি ৩৬ বিএইচপি শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম ছিল। ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে, এটি ৪-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স দিয়ে সজ্জিত ছিল। বাইরের অংশের পাশাপাশি, গাড়ির অভ্যন্তরটিও পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
পুরোনো গাড়ি কিনে জিততে চাইলে খেয়াল রাখুন ৩ বিষয়
কতদিন পর পর গাড়ি পরিষ্কার করানো ভালো
সূত্র: কারটক, দ্য ইকোনোমিক টাইমস
কেএসকে/জেআইএম