ফাইভজি বিকাশে আইসিটির সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২১

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হুয়ের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের মাধ্যমে বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুবাইয়ে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী হুয়াওয়ের ১২তম বার্ষিক বৈশ্বিক মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম (এমবিবিএফ)।

ফোরামের প্রথম দিনে ফাইভজি বিকাশের বর্তমান পর্যায় ও ভবিষ্যতের নতুন সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। হু তার মূল প্রবন্ধে পরবর্তী পর্যায়ের ফাইভজি প্রবৃদ্ধির সুযোগের ক্ষেত্রে তিনটি মূল বিষয়ের উল্লেখ করেন। যার মধ্যে রয়েছে- এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (এক্সআর) সেবা, বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) মার্কেট ও কার্বন নিঃসরণ কমানো।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১৭৬টি বাণিজ্যিক ফাইভজি নেটওয়ার্ক রয়েছে। যার মাধ্যমে ৫০ কোটির বেশি গ্রাহককে সেবা দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফাইভজির ডাউনলোড গতি ফোরজির চেয়ে আনুমানিক ১০ গুণ বেশি। এর ফলে ভিআর ও ৩৬০ ডিগ্রি ব্রডকাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এন্টারপ্রাইজগুলোর ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে ১০ হাজার প্রকল্প ফাইভজির বিটুবি অ্যাপ্লিকেশন (ফাইভজিটুবি) নিয়ে কাজ করছে। উৎপাদন, মাইনিং ও বন্দরের মতো শিল্পখাতে ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার সম্পন্ন হয়েছে এবং বড় পরিসরে ফাইভজি ব্যবহার নিয়ে কাজ চলছে।

ফাইভজি সম্প্রসারণ ধারাবাহিক হলেও এক্ষেত্রে উন্নতির আরও অনেক সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন হু। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ফাইভজিটুবি প্রকল্পের অর্ধেকের বেশি চীনেই রয়েছে। আমাদের এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ‘ইউজ কেস’ রয়েছে, কিন্তু আমাদের আরও বেশি টেকসই বিজনেস কেস তৈরি করা প্রয়োজন।’

বৈশ্বিক মহামারির কারণে রূপান্তরিত এই ডিজিটাল নির্ভর বিশ্বে কীভাবে ক্লাউড ও এআই প্রতিষ্ঠানের জন্য আবশ্যিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং কীভাবে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে, এসব বিষয়সহ ভবিষ্যতে আইসিটি খাতে দীর্ঘমেয়াদে বিস্তৃত পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন হু।

তিনি বলেন, ‘এসব ট্রেন্ড আমাদের শিল্পখাতের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু এসব বিষয় কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে। এক্ষেত্রে প্রস্তুত হতে আমরা কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারি।’

কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান ছাড়াও অপারেটরদের ক্লাউড সেবাদাতা ও সিস্টেম ইন্টিগ্রেটর হিসেবে কাজ করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটাতে পারে। শিল্পখাতে বিস্তৃত পরিসরে ফাইভজি ব্যবহার ত্বরান্বিত করতে খাত সংশ্লিষ্ট টেলিকম স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ- কয়লা খনি, স্টিল ও বৈদ্যুতিক শক্তির মতো খাতে ফাইভজি ব্যবহারে চীনে অপারেটররা শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেছে এবং এ অংশীদারত্ব এসব খাতে ফাইভজি ব্যবহার বাড়াতে সহায়তা করছে।

বৈশ্বিক মহামারি, প্রযুক্তি, ব্যবসা ও অর্থনীতিতে গত দুই বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। হু বক্তব্যের শেষে বলেন, ‘সারাবিশ্ব বৈশ্বিক মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজছে। এক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যেতে আমাদের সামনে থাকা সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং এজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের প্রযুক্তি প্রস্তুত করে তুলতে হবে, আমাদের সক্ষমতার ক্ষেত্রেও প্রস্তুত হতে হবে।’

খাত সংশ্লিষ্ট অংশীদার– জিএসএমএ ও এসএএমইএনএ টেলিকমিউনিকেশনস কাউন্সিলের সঙ্গে একসঙ্গে বৈশ্বিক মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে। ফাইভজির সম্ভাবনা কীভাবে বাড়ানো যায় ও মোবাইল খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এ নিয়ে আলোচনা হয় এ ফোরামে। সারাবিশ্ব থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, বিভিন্ন খাতের নেতারা ও ইকোসিস্টেম পার্টনাররা এতে অংশ নেন।

এইচএস/এআরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।