যে ৫ ভুলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু কমে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২

স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা গেমে বুঁদ হয়ে আছেন আট থেকে আশি সব বয়সী মানুষই। তবে সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করার দ্রুত এর আয়ু কমে যায়। বিশেষ করে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করলেও এটি সময়মতো চার্জ করেন না অনেকে। এ ব্যাপারেই রাজ্যের অনীহা দেখা দেয়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্মার্টফোনের ব্যাটারি।

স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় কিছু টিপস কাজে লাগাতে পারেন। এতে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি ভালো থাকবে দীর্ঘদিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ভুল ব্যবহারে স্মার্টফোনের আয়ু কমতে পারে-

>> বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোনের রিংটনের সঙ্গে ভাইব্রেশনও সেট করেন। এই ভুল আর করবেন না। কারণ এতে ব্যাটারির জীবন অনেকটাই কমে যেতে পারে।

>> ফোনের রিংটোনও কিন্তু ব্যাটারির আয়ু কমাতে পারে। তাই ফোনের জন্য সঠিক রিংটোন বেছে নেওয়াটাও জরুরি। সবসময় ছোট রিংটোন ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন ফোনে যেগুলো দেওয়া আছে সেগুলোই ব্যবহার করতে। কারণ ফোনে যেসব ইনবিল্ড রিংটোন থাকে, সেগুলোর তুলনায় ডাউনলোডেড রিংটোনের ফ্রিকোয়েন্সি অনেক বেশি। সেগুলো ব্যবহার করলে ফোনের ব্যাটারি জলদি ফুরিয়ে যায়।

>> ফোন যখন চার্জ করছেন, তখন শুধুই তাকে চার্জড হতে দিন। অযথা ফোন চার্জের সময় মাল্টিটাস্কিং করতে যাবেন না। ফোন চার্জ করার সময় অযথা গেম খেললে বা অন্য কোনো কাজ করলে ফোনের ব্যাটারি গরম হয়ে যায়।

>> ফোনে এমন অনেক অ্যাপ থাকে যেগুলো অপ্রয়োজনীয় এবং অনেক পুরোনো। এমন সব অ্যাপ ফোন থেকে সরিয়ে ফেলুন। ফোনে যত বেশি অ্যাপ পড়ে থাকবে, তত বেশি ফোনের ব্যাটারির উপরে চাপ বাড়বে। ফলে ফোনের ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। তাই প্রয়োজনীয় বা এখন ব্যবহার করছেন এমন অ্যাপগুলোই রাখুন ফোনে।

>> ফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে ফোনের অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। লোকেশন আপডেট, ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা অ্যাক্সেস অফ করে রাখুন। এতে ব্যাটারির উপর চাপ কম পড়বে ফলে আয়ু বাড়বে।

সূত্র: মেক ইউজ অব

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।