ফাইভ-জিতে মানুষের জীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন আসবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫১ এএম, ২২ মে ২০১৯

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একসময় ডাকসেবা ছিল মানুষে মানুষে যোগাযোগ স্থাপনের একমাত্র উপায়। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষের হাতে হাতে যোগাযোগের ডিভাইস চলে আসছে। সামনের দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুক্ত হলে মানুষের জীবনের যে কী পরিবর্তন আসবে তা কেউ আন্দাজও করতে পারছেন না।

মঙ্গলবার ডাক অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল যুগে পৃথিবীতে প্রতিমুহূর্তে পরিবর্তন আসছে। পৃথিবীতে কৃষিযুগ গেছে হাজার হাজার বছর কিন্তু ডিজিটাল যুগে রূপান্তর ঘটছে প্রতিমুহূর্তে।

তিনি ডাকসেবাকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর ডাকঘরের জন্য উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরি অপরিহার্য।

তিনি বিদ্যমান ডাকসেবাকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণের কাছে দ্রুত ডাকসেবা পৌঁছাতে করণীয় চিহ্নিত করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী ডাকসেবার ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তির অভাবনীয় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ডাক বিভাগকে রূপান্তর ঘটাতে হবে।

ডাক বিভাগের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শত বছরের পশ্চাৎপদতাকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। গত দশ বছরে দেশে সাড়ে আট হাজার ডাকঘর ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।

মন্ত্রী ডাক অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, সারাদেশের সবক্ষেত্রে যে ডিজিটাল রূপান্তর চলছে, এই ক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ডাক বিভাগকে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে যে প্রযুক্তি আমাদের ডিজিটাল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সে বিষয়টির পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।