প্রযুক্তি খাতকে জরুরি পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে যথার্থ ও সময়োপযোগী মনে করে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা রাখার জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও আইসিটি বিভাগ, ৮টি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিসিএস।
রোববার (৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো আবেদনে ২০২০ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটিকালে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে জরুরি পরিষেবা বিবেচনায় সীমিত আকারে খোলা রাখা ও এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবলের অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল বলে বিসিএস-এর আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতি বলা হয়, করোনার প্রাদুর্ভাবকালে স্বাস্থ্যসেবাসহ সরকারি জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, আইটিএস, বিপিও, আইএসপি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সচল রাখা, ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য এটিএম বুথ চালু রাখা, অনলাইন/ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাসায় বসে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা, কল সেন্টারসহ সকল প্রকার জনগুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা চালু রাখতে কম্পিউটার হার্ডওয়ার পণ্য যেমন- ল্যাপটপ, মডেম, রাউটারসহ কম্পিউটারের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, অনলাইন ইউপিএস অপরিহার্য।
সকল প্রকার জরুরি সেবা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে প্রযুক্তি পণ্যের গুরুত্ব উল্লেখ করে বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, লকডাউনের সময় তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব ও ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। বিদেশে রফতানি, জরুরি সময়ে জনগণের বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছানো এবং রাষ্ট্রীয় জরুরি সকল সেবা সচল রাখতে হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী ও সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা রাখা আবশ্যক। অন্যথায় থমকে যাবে জরুরি সেবা কার্যক্রম। এজন্য প্রযুক্তি পণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান এবং এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলের অনুমতি প্রদান করা উচিৎ।
হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান/মার্কেটগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলা রাখার প্রস্তাব করে এ সেবাকে জরুরি পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান বিসিএস সভাপতি।
এইচএস/এআরএ