২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে বুদ্ধিদীপ্ত-উদ্ভাবনী জাতি: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৩

২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যের পথ ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। যার লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ বিশ্বে বাংলাদেশকে বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে তুলে ধরা।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩০ আগস্ট) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের সঙ্গে বেসিস ও বাক্কোর দুটি আলাদা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল ডিরেক্টর পঙ্কজ গুপ্ত উপস্থিতি ছিলেন। ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এবং বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন:  ৯ লাখ গৃহহীনকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘উদ্ভাবন ও গবেষণার বিকাশে দেশের ১০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র (আরআইসি) প্রতিষ্ঠা করছে। এসব আরআইসি থেকে অগ্রসর প্রযুক্তিনির্ভর নানা গবেষণা ও উদ্ভাবনের ফলে দেশে উদ্যোক্তা তৈরি হবে, যারা বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, বিগডেটা, ব্লকচেইন, থ্রিডির মতো অগ্রসর প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে। এজন্য ইডিজিই প্রকল্প থেকে এসব প্রযুক্তিতে এক লাখ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, নীতিসহায়তা প্রদান, অধিকতর দক্ষতা উন্নয়ন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় উদ্ভাবকদের একটি সম্প্রদায় গড়ে তোলার মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সরকার আইসিটি শিল্পের জন্য দুটি ডিজিটাল অর্থনীতি হাব (কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে দক্ষিণ কোরিয়া

চুক্তি অনুযায়ী, ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল অর্থনীতি কেন্দ্রগুলোকে (হাব) গতিশীল উদ্ভাবন, জ্ঞান বিতরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষগুলো কাজ করবে। ডিজিটাল অর্থনীতির অংশীজনের জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কিত কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি জ্ঞান ও সম্পদ ভাগ করে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তুলবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, ইডিজিই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক, ইডিজিই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল বারি তুষার প্রমুখ।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

পরে প্রতিমন্ত্রী ইডিজিই প্রকল্প থেকে প্রকাশিত এবং প্রকল্পের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট অজিত কুমার সরকার সম্পাদিত ‘টেক ইনসাইট’ শীর্ষক নিউজ লেটারের মোড়ক উন্মোচন করেন।

এএএইচ/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।