মধ্যরাতের সৈকতে চাঁদের মায়া

শো শো গর্জনে বিশাল আকারের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্রতটে। হিমেল বাতাস বইছে চারিদিকে। মাঝসমুদ্রে মাছধরা নৌকার বাতি জোনাকি পোকার মতো মিটমিট করে জ্বলছে। মাথার ওপর ডিমের কুসুমের মতো কমলাসদৃশ চাঁদের আলো পড়ে আভা ছড়াচ্ছে মাঝসমুদ্রের বেশ খানিকটা জায়গাজুড়ে।
রোববার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টয় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে দাঁড়িয়ে নিশাচর গুটিকয়েক পর্যটক অপলক দৃষ্টিতে মধ্যরাতের সৈকতের এ অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। রাত যত গভীর হয় চাঁদ যেন ডুব দিতে ক্রমেই নেমে আসে সমুদ্রের কাছে।
রাজধানীর কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা সোহানুর রহমান সোহানকে তার বন্ধুরা হোটেলে ফিরে যাওয়ার তাগাদা দিচ্ছিলেন বারবার। কিন্তু সোহান তখন যেন অন্য এক জগতে ঘুরছেন। শিশুদের মতো সমুদ্রসৈকতে রাত কাটিয়ে দেয়ার বায়না ধরেছেন তিনি।
প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সোহান মুগ্ধতা নিয়ে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে কয়েকমাস প্রায় গৃহবন্দি থেকে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। কক্সবাজারের এ সমুদ্র সৈকতে এসে প্রাণভরে শ্বাস নিচ্ছি। রাতের এ অপরূপ সৌন্দর্য ফেলে হোটেলে ফিরে যেতে মন চায় না।’
রাতের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে সোহানের মতো আরও এমন বেশ কিছু সংখ্যক পর্যটককে মধ্যরাতেও সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার অদূরে ঘণ্টা ধরে চেয়ার ভাড়া করে সটান হয়ে শুয়ে দুচোখ বন্ধ করে সমুদ্রের গর্জন শুনে সময় কাটাচ্ছিলেন। অল্প বয়সী কয়েকজন তরুণকে গলা ছেড়ে গান গাইতে দেখা যায়।
রাত যত গভীর হয়, সমুদ্র সৈকতে নেমে আসে শূন্যতা। চাঁদও এক সময় ডুবে যায় মাঝ সমুদ্রে।
এমইউ/এইচএ/জেআইএম