মারমেইড বিচ রিসোর্ট মানেই ঐতিহ্যবাহী ‘চাঁদের নৌকায়’ সাগরে ভ্রমণ

যতদূর চোখ যায়—গহীন জলরাশি যেন ছুঁই ছুঁই করছে আদিগন্ত সুনীল আকাশ। উত্তাল ঢেউয়ের তালে দুলছে নৌকাগুলো। দিগন্তবিস্তৃত সাগরের নীল জলরাশির দিকে চোখ ছুড়ে দিলে যে কারো মন বিমোহিত হয় নিমেষে। মনে হয় যেন পৃথিবীর সব সৌন্দর্য আর জীবনের অপার বিস্ময় এখানে মিলেমিশে একাকার। চোখ বুঝে একবার কল্পনা করুন তো, বঙ্গোপসাগরের ঠিক মাঝখানে আপনি, আপনার ‘চাঁদের নৌকা’ সাগরের শান্ত ঢেউয়ে দুলে দুলে উঠছে। আপনি দুই হাত প্রসারিত করে জীবনের অনুপম মুহূর্তগুলো পান করছেন। কী অনুভূতি হবে তখন? কল্পনা নয়, পর্যটকদের জন্য হাতের নাগালে এমনই এক সুযোগ এনে দিয়েছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট।
টেকনাফগামী মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিম পাশে রেজু খালের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট। এ রিসোর্ট মানেই সাগর, বালুকাবেলা, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং নির্জনতাসহ প্রকৃতির সব সৌন্দর্য যেন এক জায়গায় জড়ো হয়ে আছে। আর এতসব আয়োজনের সঙ্গে এবার যোগ হলো বঙ্গোপসাগর ভ্রমণ। মারমেইড বিচ রিসোর্টে থাকলেই পর্যটকদের চাঁদের নৌকায় করে নেওয়া হবে বঙ্গোপসাগরে। এর জন্য পর্যটকদের গুণতে হবে না বাড়তি কোন অর্থও।
কক্সবাজার ভ্রমণে গেলে সৈকতের তীরে সারি সারি চাঁদের নৌকা দেখতে পাওয়া যায়। চাঁদের মতো দেখতে বলেই এর নাম ‘চাঁদের নৌকা’। এ ধরনের নৌকা কক্সবাজারের ঐতিহ্য। সাগর তীরে পর্যটকদেরই অপেক্ষায় থাকা এসব নৌকায় পর্যটকদের ছবি তোলার হিড়িক পড়ে।
মারমেইড বিচ রিসোর্টে রাত্রিযাপন করলে পর্যটকরা পাবেন আরও বেশ কিছু সুবিধা। চাঁদের নৌকায় করে রেজু খাল হয়ে বঙ্গোপসাগরে নেওয়া হবে পর্যটকদের। রিসোর্টে অবস্থানকালে একদিন তাদের সাগর ভ্রমণের স্বাদ দেওয়া হবে। ভ্রমণের সময় খাবার ও অন্যান্য পরিষেবাও থাকবে।
এখন পর্যন্ত নৌকায় করে পর্যটকদের সাগর ভ্রমণের কোনো উদ্যোগ নেই কক্সবাজারে। জেট স্কি বা ওয়াটার বাইকে করে সাগরে ‘ঢুঁ মারা’ গেলেও তা যেন দুধের স্বাদ ঘোলে মেঠানোর মতো। এর জন্য গুণতেও হয় কাড়ি কাড়ি টাকা।
মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিসুল হক সোহাগ জাগো নিউজকে বলেন, চাঁদের নৌকাগুলো সাগরতীরেই পড়ে থাকে। অথচ এগুলোতে করে পর্যটকদের সাগরে ঘুরানোর উদ্যোগ নেয়নি কেউ। মারমেইডই প্রথম চাঁদের নৌকায় করে সাগরে নেবে পর্যটকদের। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ পরিষেবা দিতে প্রস্তুত। মারমেইড বিচ রিসোর্টে অবস্থানের পুরোটা সময় আমরা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আনন্দঘন করে তুলতে চাই।
আইএইচআর/এমকেআর/জেআইএম