তুরস্ক ভ্রমণের আগে যা জেনে নিতে পারেন

মুসা আহমেদ
মুসা আহমেদ মুসা আহমেদ তুরস্ক থেকে ফিরে
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২২

বিশ্বে পর্যটনে বরাবরই সবার পছন্দের শীর্ষে তুরস্ক। যেখানে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি একসঙ্গে মিশে আছে। প্রকৃতি যেন পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র, হ্রদ, জলপ্রপাত, নদীতে তার সবটুকু সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে। ফলে দেশটিতে বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ও তুরস্কের সম্পর্ক ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় চমৎকার এবং বহুমাত্রিকও বটে। উভয় দেশই পর্যটনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করছে। দুই দেশে খুব সহজেই মিলছে ভ্রমণ ভিসা। সীমিত বাজেটে তুরস্ক ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। এজন্য দরকার একটি ট্যুর পরিকল্পনা।

২৪ ফেব্রুয়ারি ছয়দিনের তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফেরার পর থেকে শুভাকাঙ্ক্ষী-পরিচিতদের অনেকেই তুরস্ক ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। বিশেষ করে তুরস্কের ভিসার আবেদন, ভ্রমণের উপযুক্ত সময়, বিমান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট বা বাঙালি খাবার (ভাত-মাছ) এবং দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে সবার জানার আগ্রহ বেশি। তাদের জন্য আজকের এই লেখা।

ভিসা
তুরস্ক মূলত একটি পর্বতবেষ্টিত উচ্চ মালভূমি। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আনাতোলিয়া উপদ্বীপের সম্পূর্ণ অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত দেশটি। ফলে ভৌগোলিকভাবে দেশটি একই সঙ্গে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

দেশটিতে ভ্রমণে প্রথম কাজ ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করা। রাজধানীর বনানী ১১, নম্বর রোডে তুরস্ক ভিসা সেন্টারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফি দিতে হবে। ভিসা পেতে গড়ে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তবে বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের তুরস্কে ভ্রমণের জন্য কোনো ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ৯০ দিনের অন অ্যারাইভাল ভিসা বিমানবন্দর থেকেই পাবেন।

ভ্রমণের সময় নির্ধারণ

সাধারণত ভ্রমণ ভিসায় তিন মাস পর্যন্ত সময় থাকে। এ সময়ের মধ্যে ঘোরাঘুরির জন্য উত্তম সময়টি বের করতে হবে। যেমন- ২৪ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে প্রচণ্ড তুষারপাত হয়েছে। ওই সময় তাপমাত্রা মাইনাস ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। এতে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালের ছাদ ধসে পড়ে। তখন দুদিন বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। এভাবে পুরো তুরস্ক বরফে ঢেকে গিয়েছিল। এ কয়েকদিন লোকজন ছিল ঘরবন্দি।

আবার ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় যখন ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে নামি তখন তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিতে চলে যায়। পরদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল শূন্য ডিগ্রিতে। বাইরে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। ফলে সকাল ৮টা পর্যন্ত বাইরে লোকজন তেমন দেখা যায়নি।

১৯ ডিসেম্বর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তাপমাত্রা ছিল আরও ভয়াবহ। ওই দিন সকালে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪ ডিগ্রি। সন্ধ্যা ৬টায় পাহাড়ি উঁচুনিচু সড়কে শুরু হয় তুষারপাত। টানা তিন ঘণ্টার তুষারপাতে পাহাড়ের গাছপালা সাদা আবরণে ঢেকে যায়। সড়কে যান চলাচলেও সমস্যা হয়।

আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা আবুল বাসার জাগো নিউজকে বলেন, বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তুরস্ক ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময়। এই সময় তুরস্কে শীত কম থাকে। ঘোরাঘুরি করে আনন্দ বেশি হয়। কিন্তু অন্যান্য মাসে শীত অনেক বেশি থাকে। মোটা জামাকাপড় পরেও শীত নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। তবে পর্যটকদের অনেকেই তুষারপাতে ঘুরতে পছন্দ করেন। তাদের জন্য জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি উত্তম।

বিমান ভাড়া ও যাতায়াত

বর্তমানে ঢাকা থেকে সপ্তাহে ১২টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে টার্কিশ এয়ার। এর বাইরে কাতার, এমিরেটস, কুয়েত এয়ারে (কাতার ও কুয়েত ট্রানজিট) ইস্তাম্বুল ভ্রমণ করা যায়। সবক্ষেত্রে বিমান ভাড়া প্রায় সমান। তবে যাদের সঙ্গে শিশু থাকবে তারা শিশুদের টিকিটের বিষয়টি যাচাই করে নিলে ভালো। সাধারণভাবে যেকোনো এয়ারলাইন্স দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নামমাত্র টিকিট চার্জ করে, যার পরিমাণ এডাল্ট টিকিটের ১০ ভাগের একভাগ। শিশুর বয়স দুই বছরের বেশি এবং ১২ বছরের কম হলে তাদের জন্য শতকরা ৭৫ ভাগ।

এখন ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে ইস্তাম্বুল যাওয়া যাচ্ছে। যারা জরুরি যেতে চান তাদের ভাড়া ১ লাখ ৩০ হাজার পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে।

হোটেল

ভ্রমণে বের হওয়ার আগেই অর্থাৎ ভিসা আবেদন করার আগে হোটেল বুকিং দিতে হয়। অনেকে আবার সেই বুকিং বাতিল করে তুরস্কে গিয়ে হোটেল ভাড়া করেন। হোটেলের ধরন এবং অবস্থান অনুযায়ী ভাড়া কম বেশি হয়। তবে যে পর্যটন কেন্দ্রে যাবেন, তার আশপাশে হোটেল নিলে ভালো হয়।

বিশেষ করে আয়া সোফিয়ার আশপাশে হোটেল নিলে হেঁটেই ইস্তাম্বুলের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন। আয়া সোফিয়া ও ব্লু মস্কে নামাজ পড়তে পারবেন। হেঁটেই গ্র্যান্ড বাজারে কেনাকাটা করা সহজ হবে।

jagonews24

তুরস্কের মুদ্রার নাম টার্কিশ লিরা। এখন আমেরিকান ডলারের সঙ্গে লিরার এক্সচেঞ্জ রেট প্রায় ১৪ লিরা। সাধারণত টু স্টার বা এর চেয়ে ভালোমানের হোটেলগুলোতে রুম ভাড়ার সঙ্গে সকালের নাস্তা থাকে। রুমে চা-কফি এবং মিনারেল ওয়াটারও থাকে।

তুরস্কের দর্শনীয় স্থানে প্রথম ইস্তাম্বুল

এশিয়ার প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য আর ইউরোপের আধুনিকতা- দুইয়ের মিশেলে গড়ে উঠেছে তুরস্কের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির সেরা ঐতিহ্য ইস্তাম্বুল শহর। এর সভ্যতা অতি প্রাচীন। রোমান, লাতিন, বাইজেন্টাইন আর অটোমান সাম্রাজ্য প্রায় ১৬০০ বছর ধরে এই দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছে। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের পদচারণা এখানেই ঘটেছিল।

এখন দেশটির অর্থনৈতিক, ঐতিহাসিক এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান ইস্তাম্বুল। ভূমধ্যসাগর এবং কৃষ্ণসাগর ঘিরে রেখেছে এই শহরকে। রেল চলাচলের মাধ্যমে এই শহর ইউরোপ আর মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত। ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে ইস্তাম্বুল দারুণ জনপ্রিয়। শহরের প্রধান আকর্ষণ এর ঐতিহাসিক স্থানগুলো।

এর মধ্যে সবার পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আয়া সোফিয়া। নান্দনিক আর নজরকাড়া স্থাপত্যের নিদর্শন নিয়ে প্রায় ১৫শ বছর ধরে মাথা উঁচু করে আছে ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া। সবশেষ রূপান্তরের পর এটি এখন আবারও ব্যবহৃত হচ্ছে মসজিদ হিসেবে। যদিও আয়া সোফিয়া ঘিরে কিছুটা রাজনীতি, বিভেদ এবং আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। তারপরও সবকিছু ছাড়িয়ে আয়া সোফিয়ার স্থাপত্যকীর্তি আর এর শৈল্পিক আবেদন সব ধর্মের দর্শনার্থীরই মন কাড়ে।

এছাড়া আছে ইস্তাম্বুলে অটোমান সুলতানের প্রাসাদ টপকাপি প্রাসাদ, ব্লু মস্ক, বসফরাস প্রণালির সেতু, ভূ-গর্ভস্থ বেসিলিকা সিস্টারন। কেনাকাটা করতে পারেন গ্র্যান্ড বাজারে। এছাড়া গ্যালাটা টাওয়ারে দাঁড়িয়ে শহরের পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

আঙ্কারা

তুরস্কের রাজধানী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আঙ্কারা। এখানেই তুরস্কের বেশিরভাগ তারকা বাস করেন। এ শহরেই আছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সমাধি। আনাতোলিয়ান সভ্যতার জাদুঘরসহ আরও অনেক দর্শনীয় জাদুঘর আছে এ শহরে।

এছাড়া নামকরা সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আঙ্কারায়। যেখানে আপনি খুঁজে পাবেন শিল্প ও সংস্কৃতির বিশাল ভাণ্ডার। শহরের প্যানোরমিক ভিউ উপভোগ করতে ওল্ড কোয়ার্টারের উলুস বেন্টড্রেসে অবস্থিত আঙ্কারা সিটাডেলে যেতে পারেন।

বোড্রাম

সৈকতপ্রেমীদের আনাগোনায় সবসময় ব্যস্ত থাকে বোড্রাম। শহরটি এজিয়ান সাগরের পাশে। এ কারণেই দর্শনার্থীরা ভূ-মধ্যসাগর দর্শনে বোড্রামে যান। প্রচুর ক্যাফে, রেস্তোরাঁ এবং বিলাসবহুল হোটেল আছে বোড্রামে। সেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন বোড্রাম ক্যাসল, আন্ডারওয়াটার প্রত্নতত্ত্বের প্রাচীন সংগ্রহশালা, প্রাচীন বোড্রাম থিয়েটার এবং মেন্ডস গেট।

কাস, আন্টালিয়া

নিরিবিলি অবকাশযাপনের জন্য কাস হলো অন্যতম এক স্থান। এটি একটি শান্ত সমুদ্র উপকূলীয় শহর। এটি তুরস্কের ভূ-মধ্যসাগরীয় উপকূলরেখার আন্টালিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে গেলে আপনি সমুদ্রতলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

কারণ সেখানকার সমুদ্রে নেমে আপনি ডাইভিং প্রশিক্ষকের সঙ্গে সমুদ্রের গভীরে ভ্রমণ করতে পারবেন। সমুদ্র উপকূলের ক্যাফে ও বর্ণিল রাস্তাগুলোয় হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যাবেন কল্পনার রাজ্যে।

ট্র্যাবসন
এটি উত্তর-পূর্ব তুরস্কের কৃষ্ণ সাগরের পাশে অবস্থিত। পন্টিক পর্বতমালা ট্যাবসনের মধ্য দিয়েই গেছে। এ অঞ্চলটিও বেশ নিরিবিলি। ট্যাবসনের মূল আকর্ষণ হলো সেখান থেকে পর্বতমালা উপভোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে বোজতেপে কৃষ্ণ সাগরের ওপরের সূর্যাস্তও দেখতে পারবেন। উজুন গুল বা লং লেকের কাছে একরাত কাটালে তার স্মৃতি সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ট্র্যাবসনেও হায়া সোফিয়ার এক সংস্করণ আছে, যা ইস্তাম্বুলের চেয়ে কিছুটা আলাদা!

jagonews24

ক্যাপাডোসিয়া
চারপাশে নানা রঙের বেলুন দেখতে পাবেন ক্যাপাডোসিয়ায় প্রবেশ করলেই। এ যেন এক অভূতপূর্ব সৌন্দর্য, যা হয়তো আপনি দেখেননি। ক্যাপাডোসিয়ায় পর্যটকরা হট এয়ার বেলুনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যান। এ বেলুনগুলোয় চড়ে আপনিও উড়তে পারবেন আকাশে।

এছাড়া সেখানে দেখতে পাবেন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকাভুক্ত গোরমে ওপেন এয়ার জাদুঘর, যা একসময় বাইজেন্টাইন সন্ন্যাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র ছিল। পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছিল ঐতিহাসিক এই গির্জা।

ক্যাপাডোসিয়ার সবচেয়ে অবাক করা সৌন্দর্য হলো সেখানকার ভূ-গর্ভস্থ শহরগুলো। কায়মাকলি আন্ডারগ্রাউন্ড সিটিতে সর্বাধিক মানুষ বাস করেন। ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারা ঘুরে আপনি সরাসরি ফ্লাইটে তুরস্কের কেন্দ্রীয় আনাতোলিয়ান অঞ্চল থেকে ক্যাপাডোসিয়ায় যেতে পারবেন। বিভিন্ন মৃৎশিল্পের দোকান, পাসবাগ এবং ডেভ্রেন্ট ভ্যালি এমনকি একটি গুহার হোটেলও দেখতে পারেন ক্যাপাডোসিয়ায়।

এফিসাস
ইজমির থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত এফিসাস। এফিসাস এক সময় প্রাচীন গ্রিক শহর ছিল। বর্তমানে সেখানকার ধ্বংসাবশেষগুলো দেখতে ইতিহাসপ্রেমীরা এফিসাসে ভিড় জমান। পুরো অঞ্চলটি এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত। সেখানে গেলে অবশ্যই দেখবেন টেরিমসের মন্দির, হ্যাড্রিয়ানের মন্দির, সেন্টজনের বেসিলিকা এবং এফিসাস জাদুঘর।

কোন্যা
এটি তুরস্কের রোমান্টিক শহর হিসেবে খ্যাত। কবিদের আনাগোনা বেশি এই শহরে। কোন্যাতে আপনার প্রথম গন্তব্যটি হওয়া উচিত মেভালানা জাদুঘরে। গোলাপ দ্বারা সজ্জিত তুরস্কের বিখ্যাত কবি ম্যাভলানা রুমির সমাধি আছে সেখানে। সন্ধ্যার দিকে কোন্যার সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি ফুটে ওঠে। ওই সময় এক কাপ তুর্কি চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে সেখানকার প্রেমে পড়ে গিয়ে আপনি কবি হয়েও উঠতে পারেন!

জিএমটিআই বা গ্লোবাল মুসলিম ট্রাভেল ইনডেক্স অনুযায়ী পৃথিবীর শীর্ষ মুসলিম পর্যটনপ্রধান দেশের তালিকায় তুরস্ক অন্যতম। জিএমটিআই’র হিসাবে ২০১৭ সালেই তুরস্ক ভ্রমণ করেছেন ৩ কোটি ৯৯ লাখ বিদেশি পর্যটক। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয় দেশটি। এভাবে ২০১৮, ২০১৯ সালে পর্যটক কোটি ছাড়িয়েছে। ২০২১ সালে শুধু আয়া সোফিয়া দেখতেই গেছেন ৩৬ লাখ পর্যটক। এভাবে ইস্তাবুলই এখন গোটা তুরস্কের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। সারাদেশের মোট করের ৪০ শতাংশ জোগান দেয় ইস্তাম্বুল।

এমএমএ/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।