৩৭ বছর ধরে ফুল চাষ করছেন ভৈরবের দুলাল

রাজীবুল হাসান রাজীবুল হাসান ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ১১:৫৯ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৩৭ বছর ধরে নার্সারিতে বাহারি ফুলের চাষ করে সফল হয়েছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের দুলাল মিয়া। তিনি উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার নার্সারিতে ১৬-২০ জনের বেশি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, নার্সারিতে ফুটেছে গোলাপ, গাঁদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। মালিকসহ পরিচর্যাকারীরা গাছের পরিচর্যা ও বিক্রির জন্য গোলাপ ও গাঁদা ফুল কাটছেন। নিজের ১২০ শতাংশ জায়গায় গোলাপ, সাদা গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ করেন। নার্সারি থেকে ফুল সংগ্রহ করে নিজের দুটি দোকানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন।

সফল ফুল চাষি দুলাল মিয়া জাগো নিউজকে জানান, শখ থেকে শুরু করেন ফুল চাষ। প্রথমে সাভারের একটি নার্সারিতে ফুল চাষ শুরু করেন। সেখানে ৮ বছর চাষ করার পর ভৈরব শহরের মাদ্রাসা এলাকায় বাণিজিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ শুরু করেন। পরে নিজগ্রামে নিজের জমিতে চাষ শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে ফুল চাষ করে সফল তিনি। গড়ে তুলেছেন দুটি ফুল বিক্রির দোকান।

৩৭ বছর ধরে ফুল চাষ করছেন ভৈরবের দুলাল

তিনি বলেন, ‘আমার তো নার্সারিসহ দুটি ফুল বিক্রির দোকান আছে। সারাবছরই বিক্রি হয়। যারা শুধু বাগান করেন; তারা দিবসের অপেক্ষায় থাকেন। এ বছর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাগান থেকে প্রায় ১৪০০ লাল গোলাপ ও ১ হাজার গাঁদা ফুল কাটা হয়েছে। এসব ফুল দোকানে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন

দুলাল মিয়া বলেন, ‘বাজারে পাইকারি ১০০ গোলাপ ফুল ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি মাসে নাসার্রিতে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়। তবে ফুল বাগান সবাই করতে পারেন না। মনের সাথে ফুল চাষের সম্পর্ক আছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই ফুল চাষে আগ্রহী হয়েছি। এটি পেশা হিসেবে নিয়ে বেশ সফল হয়েছি। সমাজেও এ পেশাকে সম্মান করা হয়। আমি খুব গর্ব বোধ করি।’

৩৭ বছর ধরে ফুল চাষ করছেন ভৈরবের দুলাল

নার্সারির শ্রমিক কটিয়াদি উপজেলার জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই নার্সারিতে যত্ন ও পরিচর্যা শেষে ফুল সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য দোকানে নিয়ে যাই। সারাবছরই আমাদের ফুলের চাহিদা থাকে। বিশেষ দিবসগুলোতে বেশি চাহিদা থাকে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে তিনটি দিবস পাওয়া যায়। আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। নার্সারি থেকে প্রতিদিন ১১০০-১২০০ গোলাপ কাটা হয়। বাজারে পাইকারি ১১ টাকা ও খুচরা ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়।’

আরেক শ্রমিক রাজু মিয়া বলেন, ‘৪ মাস হয়েছে বাগানের পরিচর্যাকারী হিসেবে কাজ করছি। প্রতিদিন সকাল থেকে ফুল গাছের পরিচর্যা শুরু করি। যদি কোনো কারণে পরিচর্যায় ত্রুটি থাকে, তাহলে বাগানের গাছে ফুল কম আসে। সে জন্যই সঠিকভাবে যত্ন নিতে হয়।’

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।