চৈত্র মাসে কোন ফসলের যত্ন কীভাবে নেবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২৩
ফাইল ছবি

কৃষকরা চৈত্র মাসে কোন ফসলের যত্ন কীভাবে নেবেন, সেটি জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

বোরো ধান

যারা শীতের কারণে দেরিতে চারা রোপণ করেছেন তাদের ধানের চারার বয়স ৫০-৫৫ দিন হলে ইউরিয়া সারের শেষ কিস্তি উপরি প্রয়োগ করুন। ধানের কাইচ থোড় আসা থেকে শুরু করে ধানের দুধ আসা পর্যন্ত ক্ষেতে ৩/৪ ইঞ্চি পানি ধরে রাখুন। বিদ্যুৎ ও পানি সাশ্রয়ে এডাব্লিউডি পদ্ধতিতে সেচ দিন। বোরো ধানের জমিতে গান্ধি পোকা দমনে আলোক ফাঁদ, বিষটোপ ব্যবহার করুন। আক্রমণ বেশি হলে অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করুন। বন্যাপ্রবণ ও নিচু এলাকায় অল্প দিনে পাকে এমন আগাম জাতের আউশ ধান (ব্রি ধান-৪২, ব্রি ধান-৪৩, ব্রি ধান-৬৫, ব্রি ধান-৮২, ব্রি ধান-৮৩, বিনা ধান-১৯, বিনা ধান-২১) চাষ করুন।

গম

দেরিতে বপন করা গম পেকে গেলে রিপারের সাহায্যে সংগ্রহ করুন। এতে বিঘাপ্রতি খরচ হবে মাত্র ২০৪ টাকা। গমের ক্ষেতে ইঁদুর দমনের কাজটি সবাই মিলে একসঙ্গে করুন।

ভুট্টা

বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে শুকনো আবহাওয়ায় জমিতে শতকরা ৭০-৮০ ভাগ গাছের মোচা খড়ের রং ধারণ করলে মোচা সংগ্রহ করুন। গ্রীষ্মকালীন ভুট্টা চাষ করতে চাইলে এ মাসে বীজ বপন করতে হবে। খরিফ মৌসুমের জন্য ভুট্টার উন্নত জাতগুলো হলো বারি হাইব্রিড ভুট্টা-১০, বারি হাইব্রিড ভুট্টা-১৪, বারি হাইব্রিড ভুট্টা-১৫, বারি হাইব্রিড ভুট্টা-১৭।

পাট ও আলু

চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত পাটের বীজ বপন করা যায়। পাটের ভালো জাতগুলো হলো ও-৯৮৯৭, বিজেআরআই তোষা পাট-৪, বিজেআরআই তোষা পাট-৫, বিজেআরআই তোষা পাট-৬, বিজেআরআই দেশি পাট-৫, বিজেআরআই দেশি পাট-৬, বিজেআরআই দেশি পাট-৭, বিজেআরআই দেশি পাট-৮।

আরও পড়ুন: আমের অ্যানথ্রাকনোজ বুঝবেন কীভাবে, হলে যা করবেন

ভালো ফলনের জন্য প্রতি একরে ৭০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি টিএসপি, ১২ কেজি এমওপি, ১৮ কেজি জিপসাম এবং প্রায় ৪.৫ কেজি জিংক সালফেট সার প্রয়োগ করতে হবে। আলু তোলার পর ভালো করে শুকিয়ে বাছাই করুন এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিন।

jagonews24

শাকসবজি

পানির অপচয় কমাতে তরমুজ, কুমড়া, শসা, ঝিঙা, করলা, লাউ গর্ত পদ্ধতিতে বপন করুন। লতা জাতীয় শাকসবজির জন্য মাচার ব্যবস্থা করুন।

গাছপালা

এ সময় বৃষ্টির অভাবে মাটিতে রসের পরিমাণ কমে আসে, তাই গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আম গাছে হপার পোকার আক্রমণ হলে অনুমোদিত কীটনাশক যেমন- সিমবুস/ ফেনম/ডেসিস/ ফাইটার ২.৫ ইসি প্রভৃতি প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিন। আম গাছে মুকুল আসার ১০ দিনের মধ্যে কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বেই একবার এবং এর একমাস পর আরও একবার প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ১ (এক) মিলি সিমবুস/ফেনম/ডেসিস/ফাইটার ২.৫ ইসি মিশিয়ে গাছের পাতা, মুকুল ও ডালপালা ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করুন।

আরও পড়ুন: মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাট

এসময় আমে পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানথ্রাকনোজ রোগ দেখা দিতে পারে। সালফার সমৃদ্ধ ছত্রাকনাশক প্রয়োগে পাউডারি মিলডিউ ভালো হয়। এ মাসে পেঁপের চারা রোপণ করতে পারেন।

এনএইচ/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।