সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর জুলাই জাগরণ

সাঁজোয়া যান থেকে ইয়ামিনকে ফেলানোর দৃশ্য দেখানো হয় মোটিফের মাধ্যমে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে ‘জুলাই জাগরণ’ কর্মসূচি। এতে সাঁজোয়া যান থেকে শহীদ ইয়ামিনকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা, শহীদ নাফিজকে আহত অবস্থায় রিকশায় নিয়ে যাওয়া বা সাভারের আশুলিয়ায় ভ্যানের ওপর ফেলে রাখা শহীদদের দেহসহ জুলাইয়ের নানা ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে মোটিফের মাধ্যমে।

সোমবার (৪ আগস্ট) এই কর্মসূচির চতুর্থ দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিস্তৃত এই আয়োজনে থাকছে সংগীত, আবৃত্তি, আলোচনা নাটক ও ডকুমেন্টারি।

এদিন আব্দুল্লাহ বিন নাসেরের কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় এ আয়োজন। এরপর ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় সাইমুম পরিবেশিত ইসলামিক সংগীত, মঞ্চ অভিনয়, নাটক ও ডকুমেন্টারি।

সাঁজোয়া যান থেকে ইয়ামিনকে ফালানোর দৃশ্য দেখানো হয় মোটিফের মাধ্যমে

এসময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের অবদানের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সরজমিনে দেখা গেছে, মূল মঞ্চের আশপাশে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী মোটিফ রয়েছে। বিশেষ করে প্রতীকী আয়নাঘর মন কেড়েছে দর্শকদের। দীর্ঘ লাইন দিয়ে আয়নাঘরে প্রবেশ করছে দর্শনার্থীরা।

একজন দর্শনার্থী বলেন, প্রতীকী এই আয়নাঘরে দুই মিনিটের বেশি থাকতে পারিনি, না জানি হাসিনার আয়নাঘর কত বেশি ভয়ংকর ছিল।

সাঁজোয়া যান থেকে ইয়ামিনকে ফালানোর দৃশ্য দেখানো হয় মোটিফের মাধ্যমে

এর পাশেই রয়েছে ‘বায়োস্কোপ’। যেখানে শেখ হাসিনার বিভিন্ন কথা ও তার ছবি হাস্যরত্মাকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত একটি মোটিফ রয়েছে। যেখানে শহীদদের প্রতীকী কবর নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে শহীদদের শহীদ হওয়ার সময় বিভিন্ন নির্মম ঘটনা।

সাঁজোয়া যান থেকে ইয়ামিনকে ফালানোর দৃশ্য দেখানো হয় মোটিফের মাধ্যমে

আগত এক দর্শনার্থী বলেন, এই অনুষ্ঠান গত বছরের সেই আন্দোলনকে মনে করিয়ে দেয়। এই মোটিফগুলো গায়ে কাটা দেওয়ার মতো। এখানে এসে গত বছরের সেই ঘটনাগুলো আবার হৃদয়ে নতুন করে জেগে উঠেছে। এই আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ‘ধন্যবাদ’ জানান এই দর্শনার্থী।

আয়োজনের বিষয়ে শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ জাগো নিউজকে বলেন, জুলাইয়ে এই প্রজন্ম যে ত্যাগ দেখিয়েছে তা রিকল (স্মরণ) করা ছিল মূল টার্গেট। একই সঙ্গে হাসিনা কী পরিমাণ টর্চার করেছে সেটাও ভিজিবল (দৃশ্যমান) করা। এখানে মানচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কে, কোথায় শহীদ হয়েছে। কেউ একা ভিক্টিম হয়নি, সারা বাংলাদেশ আক্রান্ত হয়েছে। সব বয়সের, সব চিন্তার, সব আদর্শের মানুষ ভিক্টিম হয়েছে। নির্যাতনের যে শুধু একটা মাধ্যম ছিল না, সেটাও দেখানো হয়েছে এখানে।

এফএআর/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।