সাত কলেজ-ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এখনো চলছে, আহত ২০

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০১:৫২ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
নীলক্ষেত মোড় এলাকায় উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ এখনো চলছে। সংঘর্ষ শুরুর সাড়ে তিন ঘণ্টা পার হলেও এখনো সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছেই। এতে এ পর্যন্ত উভয়পক্ষের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড় এলাকায় উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।

নীলক্ষেত বই মার্কেটের সামনের রাস্তায় ঢাবি শিক্ষার্থীরা এবং নিউমার্কেট এলাকায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন। উভয়পক্ষের আহতের সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও তা ২০ জনের বেশি বলে নিশ্চিত করেছেন উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীরা।

jagonews24.com

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলা অবস্থায়ই সংঘর্ষস্থলে হাজির হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি।

রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নীলক্ষেত এলাকায় আসেন হাসনাত। এ সময় তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এরপর হাসনাত উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে নিজেই উভয়পক্ষের তোপের মুখে পড়েন।

jagonews24.com

এর আগে রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ধাওয়া দিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত এলাকা পার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। 

এমএইচএ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।