জামালপুরে দীর্ঘ ১৩ মাস পর সার উৎপাদন শুরু
জামালপুরে গ্যাসের চাপ কম থাকায় ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি সার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছিল যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ ১৩ মাস পর বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে আরও ১০-১২ দিন সময় লাগবে।
জানা যায়, দেশের বৃহৎ যমুনা সার কারখানা ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ টন দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদিত হতো। তবে গ্যাসের কম চাপ ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে পরে এক হাজার ২৫০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল কারখানাটি। এরপর এটি বন্ধ হয়ে যায়।
এভাবে দীর্ঘ ১৩ মাস বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল কারখানার মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। এছাড়া উৎপাদন বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন শ্রমিকরা। আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সার পরিবহনকারী ট্রাকচালক ও হেলপাররা বলেন, অনেক দিন থেকে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে আমাদের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা চালু হওয়ায় প্রাণ ফিরে পেলাম।
জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের ২১টি জেলার ১৬২টি উপজেলায় বিসিআইসির প্রায় এক হাজার ৯০০ ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করে থাকে যমুনা সার কারখানা।
কৃষক আলী আকবর বলেন, যমুনা সার আমাদের ফসলের জন্য অনেক ভালো। এই সার না পাওয়াতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিদেশ থেকে যে সার আমদানি করা হয় তা শতভাগ কাজ করে না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এছাড়া সার আমদানিতে সরকারকেও দিতে হয়েছে মোটা অঙ্কের ভর্তুকি। কারখানা চালু হওয়ায় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে।
জামালপুর যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন ফোনে বলেন, সার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে পুরোপুরি উৎপাদন চালু হতে আরও ১০-১২ দিন সময় লাগবে।
জেডএইচ/এএসএম