মসজিদে হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে মারামারি, আহত ৮
লালমনিরহাটে জুমার নামাজের সময় হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে।
আটকরা হলেন, ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (২৩), সৈকত (১৮), শাহিনুর ইসলাম (২৬) ও সজিব (২৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের সময় হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে দুপুরে শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সজিবসহ কয়েকজনের সঙ্গে একই এলাকার অটোরিকশাচালক আব্দুস সালামের ছেলে সিজানের কথাকাটাকাটি হয়। এসময় সিজানকে মারধর করে সজিবসহ অন্যরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মারধরের শিকার হন আব্দুস সালাম। এসময় একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেন শফিকুলরা। আহত সিজানকে তার বন্ধুরা দেখতে এলে রাত ১০টায় শফিকুল ও তার সহযোগীরা ফের হামলা করে। এসময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা শফিকুলের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুই দফায় সিজান (২০), রোহান (২২), দুলালী, জাহানারা, আব্দুল হামিদসহ অন্তত আটজন আহত হন। এরমধ্যে সিজান ও রোহান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, ডিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
লালমনিরহাট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।
রবিউল হাসান/এমএন/জেআইএম