ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে ধরা যুবলীগের ‘তলোয়ার জাহাঙ্গীর’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ১০ মার্চ ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম সন্ত্রাসী মো. জাহাঙ্গীর ওরফে ‘তলোয়ার জাহাঙ্গীর’ অবশেষে ধরা পড়েছে ছাত্রদের হাতেই।

রোববার (৯ মার্চ) ঠাকুরগাঁও আদালত চত্বরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদে অংশ নিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

জাহাঙ্গীর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পুলিশ লাইন (১নং ওয়ার্ড) এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা মৃত মমতাজ উদ্দিন। তিনি যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। গত বছরের ৪ আগস্ট স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন। সেই আন্দোলনে হামলা চালানো হয়। হাতে বড় একটি রামদা নিয়ে তাকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে দেখা যায়। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও গুরুতর আহত হন।

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে ধরা যুবলীগের ‘তলোয়ার জাহাঙ্গীর’

রোববার দুপুরের দিকে ঠাকুরগাঁও আদালত এলাকায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ চলছিল। হঠাৎ শিক্ষার্থীরা দেখতে পান, অভিযুক্ত তলোয়ার জাহাঙ্গীরও সেখানে উপস্থিত। মুহূর্তেই চারদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্ষুব্ধ ছাত্ররা তাকে ঘিরে ফেলেন।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিব বলেন, আমরা তার চেহারা ভালো করেই মনে রেখেছিলাম। ও আমাদের ভাই-বোনদের ওপর হামলা করেছিল। আদালত এলাকায় তাকে দেখে প্রথমে বিশ্বাস হয়নি, কিন্তু নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা সবাই একসঙ্গে প্রতিবাদ করি।

অন্য এক ছাত্র শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের সন্ত্রাসীরা নানা রূপ ধরে আমাদের সমাজে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু আজ সে ধরা পড়েছে, এটাই বড় প্রাপ্তি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি আগেই ব্যবস্থা নিত, তাহলে এতদিন সে এভাবে ঘুরে বেড়াতে পারত না।

ঘটনার পরপরই পুলিশ এসে উত্তেজিত ছাত্রদের কাছ থেকে জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আমরা তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আগের মামলাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তানভীর হাসান তানু/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।