পাটুরিয়া

৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারছি না

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ০৬ জুন ২০২৫

ঈদ উপলক্ষে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। আটকে রয়েছে ছোট-বড় প্রায় তিনশতাধিক যানবাহন।

শুক্রবার (৬ জুন) ঘাট এলাকায় দেখা যায়, সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী শত শত মানুষ ফেরি ও লঞ্চে নদী পারাপার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধে নৌপুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ ও যানবাহন এই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ হয়ে চলাচল করে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে যায়। তবে ঈদের সময় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ে।

এদিকে আজ ঘাট এলাকায় আনুমানিক প্রায় তিন শতাধিক ছোট-বড় যান ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে। এরমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় দেড় শতাধিক গরু পরিবহনকারী খালি ট্রাক রয়েছে।

রাজবাড়ীর যাত্রী সোহেল হোসেন জানান, আশুলিয়া থেকে লোকাল গাড়িতে করে আসেন। তবে সড়কে গাড়ি থেমে থেমে চলেছে। আর ঘাটে এসে দেখেন যানজট। তাই লঞ্চে পার হবেন বলে জানান।

মেহেরপুরের যাত্রী সালমান হোসেন বলেন, গাজীপুর থেকে আসছি। ঘাট এলাকায় দেখি ফেরি ওই পাড় রয়েছে। এক ঘণ্টা ধরে বসে আছি।

ফরিদপুরের যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, ভেবেছিলাম এ বছরও পাটুরিয়া ঘাটে আগের মতোই স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবো। কিন্তু ঘাট এলাকায় এসেছি প্রায় ৩ ঘণ্টা হলো।

ট্রাক ড্রাইভার আবদুল খালেক বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ঘাটে যে কষ্ট হতো আজ সেই অবস্থা। ৩ কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে পাড়ের অপেক্ষায় গাড়ি।

গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসচালক আজাদ ইমতেয়াজ বলেন, তিন ঘণ্টা হলো ঘাটে এসেছি। এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই।

বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুস সালাম বলেন, যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ রয়েছে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়। এ নৌরুটে ৯টি রো রো (বড়), ৩টি মিডিয়াম ও ৫টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি চলাচল করছে। যতটুকু চাপ রয়েছে ২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমাদের ফেরি সবগুলো চলছে।

মো. সজল আলী/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।