২০০ টাকার ভাড়া ১০০০, ক্ষোভে বাস ভাঙচুর

যমুনা সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড় থেকে ঢাকায় বাসভাড়া ২০০-২৫০ টাকা। অথচ ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার সময় গুনতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেছেন যাত্রীরা।
শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড় এলাকায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ক্ষোভে ঢাকামুখী ৫-৭টি বাস ভাঙচুর করেন যাত্রীরা। এসময় যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু যমুনা সেতু পশ্চিম চার কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের কারণে ঢাকামুখী বাসগুলো রাস্তায় আটকা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভি পরিবহনের একজন হেলপার ১০০০ টাকার হাঁকডাক দিয়ে বাসে যাত্রী তুলছিলেন। ভাড়া এতো বেশি কেন প্রশ্ন তুলে তর্কে জড়ান কিছু যাত্রী। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরে চালক ও হেলপাররা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ঢাকা যাওয়ার জন্য কড্ডার মোড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছিলেন পোশাকশ্রমিক ফাতেমা। তিনি এসেছেন কামারখন্দ উপজেলা থেকে। ফাতেমা জাগো নিউজকে বলেন, ‘অন্যসময় গাজীপুর যেতে ভাড়া লাগে ২০০-২৫০ টাকা। এখন প্রচুর যাত্রী, বাসও নেই যানজটের কারণে। এই সুযোগে তারা ১০০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছে। মানুষও অসহায়ের মতো বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়াতেই যাচ্ছে।’
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকার করে অভি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আব্দুল আওয়াল জাগো নিউজকে বলেন, পুরো সড়কজুড়ে যানজট ছিল। বেশিরভাগ বাস যানজটে আটকা। এদিকে শতশত যাত্রী কাউন্টারে অপেক্ষা করছে। যানজটে বাস ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। যে কারণে আমরা একটু বেশি ভাড়া আদায় করে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল। তবে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেটা সমাধান করা হয়েছে।
এম এ মালেক/এসআর/জেআইএম