সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নাক চেপেও চলা দায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ জুন ২০২৫

শহরের প্রধান সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। জন্ম নিচ্ছে মশা, মাছি ও পোকামাকড়। চারদিকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। প্রায়ই এ দৃশ্য দেখা যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে।

এখান থেকে আবর্জনার স্তূপ সরাতে কয়েকবার প্রজন্ম-৭১ ও উদীচী সংগঠন মানববন্ধন করাসহ লিখিত অভিযোগ দিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নাক চেপেও চলা দায়

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভার আবর্জনা সংগ্রহকারীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে এখানে কয়েকদিন জমা করেন। পরে এ আবর্জনাগুলো পৌরসভার বড় গাড়িতে করে ফেলা হয় শেষ ডাম্পিং পয়েন্টে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, দেশের বৃহত্তর রেলওয়ে কারখানা, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, রেলস্টেশন, উপজেলা প্রধান ডাকঘর, রেলওয়ে হাসপাতাল, প্লাজা সুপার মার্কেটসহ সরকারি-বেসরকারি শতাধিক প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার, নোভা লিয়াকত ও আরিফা আক্তারসহ কয়েকজন জানান, দিন দিন বিদ্যালয়ের পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপটি বড় আকার ধারণ করছে। সড়কের পাশে, এমনকি ওপরেও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে। ফলে আমাদের স্কুলে যাওয়া-আসা করতে কষ্ট হয়। অনেক দুর্গন্ধ। অনেক সময় বমি চলে আসে। দীর্ঘদিন থেকে এই অবস্থা। পৌর প্রশাসকের কাছে এর দ্রুত সমাধান চান তারা।

সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নাক চেপেও চলা দায়

সড়কটির অবস্থান পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দল খালেক সাবু। এ ভোগান্তির কথা তার অজানা নয়। তিনি বলেন, সড়কটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনিও খুবই বিব্রত। এ নিয়ে তিনবার এ ময়লার স্থান পরিবর্তন করেছেন। যেখানেই ফেলেন, এলাকাবাসীর প্রতিবাদে ওই স্থানটি আবার পরিবর্তন করতে হয়। স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আর কিছুই করার নাই।

সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য বিকল্প জায়গা খোঁজা হচ্ছে। নতুন জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত পৌর নাগরিকদের একটু কষ্ট সহ্য করতে হবে।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।