হিমসাগর আমের জিআই স্বীকৃতি, উচ্ছ্বসিত চাষিরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ০১ জুলাই ২০২৫

মেহেরপুরের হিমসাগর আমের সুনাম দেশ পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে। রপ্তানি হয় ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে। সুস্বাদু এই আম এবার স্বীকৃতি পেলো জিআই পণ্য হিসেবে। এতে উচ্ছ্বসিত বাগান মালিকরা।

তারা বলছেন, আমটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশ-বিদেশের বাজারে ব্যবসায়ীক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। কদর বাড়বে এ জেলার আমের।

মেহেরপুরের আমচাষি শাহিন আলী জানান, হিমসাগর আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশের ভেতর-বাইরে চাহিদা বাড়বে। এতে আমার মতো আমচাষিরা লাভবান হবেন।

আরেক আমচাষি মেহেরপুরের আমঝুপি গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার ছয় বিঘা আমের বাগান রয়েছে। হিমসাগর আম চাষে আরও বেশি আগ্রহ বাড়ছে। কারণ আমের চাহিদা বাড়বে।

মেহেরপুর শহরের সবচেয়ে বড় আম বাগানের মালিক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতি বছর নিজ উদ্যোগে কিছু হিমসাগর আম রপ্তানি করি। রয়েছে গ্যাপের সনদপত্রও। সুস্বাদু হিমসাগর আমটি সম্প্রতি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় দেড়শ টন আম রপ্তানির আশা করছি।

তবে বাগান মালিকদের অভিযোগ, এতদিন দেশ-বিদেশের বাজারে মেহেরপুরের হিমসাগর আম বিক্রি হতো রাজশাহীর নামে। পরিবহন, রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে গ্যাপের সার্টিফিকেট পাওয়াও সহজ উত্তরবঙ্গের চাষিদের। অথচ চেষ্টা করেও মেহেরপুরের চাষিদের মেলে না এ সুযোগ। তবে হিমসাগর আমটি ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ঘুচবে সব দুঃখ। মিলবে সরকারের পক্ষ থেকে সুযোগ-সুবিধা।

মেহেরপুর গাংনী ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক এনামুল আযীম বলেন, জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় আমাদের মেহেরপুরের হিমসাগর আম দেশ ও বিশ্ব বাজারে চাহিদা বাড়বে বলে আশা করছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মেহেরপুরের উপপরিচালক সামসুল আলম বলেন, দীর্ঘ চেষ্টার পর কোনো জেলার অভিযোগ না থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের জিআই পণ্যের স্বীকৃতি মিলেছে। রপ্তানি থেকে শুরু করে দেশের বাজারেও কদর বাড়বে এই আমের। জেলায় ২ হাজার ৩৬৬ হেক্টর আমের বাগান রয়েছে। এরমধ্যে হিমসাগর আমের বাগান রয়েছে এক হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে।

আসিফ ইকবাল/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।