টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুর শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৫

মাদারীপুরে টানা চারদিনের বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

সবশেষ বুধবার (৯ জুলাই) মাদারীপুরে সারাদিন বৃষ্টি হয়। এতে করে শহরের বিভিন্ন সড়কেও পানি জমে যায়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চারদিনের টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুর শহরের অনেক সড়কেই পানি জমে গেছে। এরমধ্যে পুরাণ বাজার, হামিদ আকন্দ সড়ক, ডা. অখিল বন্ধু সড়ক, শহীদ মানিক সড়ক, মন্টু ভূঁইয়া সড়ক, শহীদ বাচ্চু সড়ক, পাবলিক লাইব্রেরি রোডসহ শহরের বেশকিছু সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া শহরের শকুনি এলাকা, থানতলী, পাকদী, পানিছত্র, গোলাবাড়ি, পুরানবাজার, কুলপদ্বীসহ বেশ কিছু এলাকার নিচু ঘরবাড়িতেও ঢুকে গেছে পানি।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাদারীপুরে ৬৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আরও তিনদিন বৃষ্টি থাকতে পারে।

টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুর শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে মানুষ

শহরের থানতলী এলাকার মোসলেম হাওলাদার বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন তৈরি করা ও নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করা, সেখানে খুশি জলাশয় ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্যই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

স্কুলের শিক্ষিকা ইসরাত জাহান বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা হয়। এতে করে শহরবাসীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।

ডিসি ব্রিজ এলাকার রিকশাচালক মো. রেজ্জেক বলেন, গত চারদিন ধরে বৃষ্টির কারণে রিকশা নিয়ে বের হতে পারছি না। আর যদি বের হই, তাহলে তেমন একটা যাত্রীও পাওয়া যায় না। আমরা দিনে আনি দিনে খাই। বৃষ্টির কারণে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

পুরান বাজারের মুদি দোকানদার কামাল মাতুব্বর বলেন, বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা একদম কম। দোকান খুলি আর বন্ধ করি। দুই একটা কাস্টমার আসে।

মাদারীপুর পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জলাবদ্ধতার স্থানীয় সমাধানের বিষয়ে কাজ করা হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।