বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় তিন গ্রামের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৫

যশোরের অভয়নগরে বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় তিন গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। টানা বর্ষণের কারণে অভয়নগর উপজেলার মজুতখালী নদীর বাঁধে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।

বাঁধ রক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মাটি ফেলে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হলে তিন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান সংস্কার ও স্থায়ী সমাধানের জন্য ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন গ্রামবাসী। স্মারকলিপি পাওয়ার পর বাঁধ সংস্কারের আশ্বাসও দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে শুরু হয়েছে মজুতখালী নামের একটি শাখা নদী। নদীর অভয়নগর অংশে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের দিঘলীয়ারাবাদ, নলামারা ও জয়ারাবাদ গ্রাম রয়েছে। এই তিন গ্রামের মানুষ এখন নদীর বাঁধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে বাঁধের কয়েক স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গ্রামবাসী জানায়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের। কারণ মজুতখালী নদী তীরবর্তী বাঁধ ভেঙে পাশাপাশি তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়। ভেসে যায় মাছের ঘের, ডুবে যায় ফসলের ক্ষেত। পানিবন্দি হয়ে পড়ে শত শত পরিবার। নদী ও বাঁধ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও নেওয়া হয় না কোনো স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ।

দিঘলীয়ারাবাদ গ্রামের কৃষক পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে গ্রামরক্ষা বাঁধের দুটি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনের কারণে যেকোনো সময় নদীর পানি ঢুকে পড়তে পারে গ্রামে। গ্রামবাসীর উদ্যোগে মাটিভর্তি বস্তা ফেলে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে পানির চাপ বাড়লে উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। প্লাবিত হবে পাশাপাশি তিনটি গ্রাম। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।

সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম বলেন, মজুতখালী নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তা না হলে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে তিন গ্রামের শত শত বসতবাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমি। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এতে নতুন বাঁধ তৈরি করাসহ জিও ব্যাগ বা সিসি ব্লক ফেলে স্থায়ী সমাধানের দাবি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলেন, গ্রামবাসীর দেওয়া স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মজুতখালী নদীর বাঁধ সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মিলন রহমান/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।