ফরিদপুরে নিহত ৩

চালকের অসতর্কতা-দ্রুত গতিই কাল হলো যাত্রীদের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৫

ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় চালকের অসতর্কতাকে কারণ মনে করছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ আলী মৃধার ছেলে বাসচালক আজিজুল হক (৬২), শহরের উত্তর টেপাখোলা মহল্লার আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে আব্দুল মান্নান মোল্লা (৭৮) ও মধুখালী উপজেলার গড়িয়াদাহ এলাকার রেপতি বিশ্বাসের স্ত্রীর মিনতি রানী বিশ্বাস (৪২)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুরের করিমপুর-মল্লিকপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে দশ জন।

চালকের অসতর্কতা-দ্রুত গতিই কাল হলো যাত্রীদের

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সদর উপজেলার কানাইপুরের মল্লিকপুর এলাকায় ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলেই লোকাল বাসের তিন যাত্রী নিহত হন। দুই বাসের কমপক্ষে ১০ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। 

চালকের অসতর্কতা-দ্রুত গতিই কাল হলো যাত্রীদের

বিষয়টি নিশ্চিত করে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, দুই বাসই দ্রুতগতিতে চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে চালকের অসতর্কতার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের তীব্রতায় দুটি বাসই দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এন কে বি নয়ন/এমএন/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।