সাক্ষ্য দেওয়ায় আদালতের ফটকে সাবেক ইউপি সদস্যকে হাতুড়িপেটা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫

ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় সাক্ষী দিয়ে ফেরার পথে আদালতের ফটকের সামনে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে হাতুড়িপেটা করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নান মৃধা ওরফে চুন্নু (৫২)। তিনি উপজেলার কয়া গ্রামের মৃত হাতেম মৃধার ছেলে।

এ ঘটনায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম ভুক্তভোগী আবদুল মন্নান মৃধার আহত অবস্থায় জবানবন্দি গ্রহণ করে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামানকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহের হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলার কয়া গ্রামের একটি ব্রিক ফিল্ডের সামনে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রুবেল গাজী (২২) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। আহত হওয়ার ২১ দিন পর ৪ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রুবেল গাজীর বাবা জসিম গাজী ১৮ জনকে আসামি করে নলছিটি থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় রোববার সাক্ষীর জন্য ধার্য ছিল।

সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নান মৃধা (চুন্নু) আদালতে সাক্ষী দেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠগড়া থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের সামনে হাতুড়ি দিয়ে মন্নান মৃধাকে আঘাত করেন। এতে মন্নান মৃধা গুরুতর আহত হন। এ সময় তিনি নিজের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। আসামিরা মোটরসাইকেলটিও ব্যাপক ভাঙচুর করে।

পরে আদালত পাড়ার বিচার প্রার্থীরা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মন্নান মৃধাকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে নিয়ে যান। ঘটনার পর অভিযুক্ত আসামিরা পালিয়ে যান। পরে জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম ভুক্তভোগী মন্নান মৃধার কাছ থেকে এ ঘটনার বিস্তারিত জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

আহত আবদুল মন্নান মৃধা বলেন, ‘সাক্ষ্য দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে। এমন কী আসামিরা আমার মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আমি বিচার চাই।’

মামলার বাদী জসিম গাজী বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। এখন মামলার সাক্ষীকেও হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে চায়।’

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা হাতে পেয়েছি। এ ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।’

মো. আতিকুর রহমান/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।