কুমিল্লায় ড্যাব সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মানববন্ধন
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর পূর্বালী চত্বরে ‘সচেতন নাগরিক’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক সদস্য মো. আরিফ হোসেন, মোস্তফা জামান, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল লতিফ ও আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে ডা. এম এম হাসানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ডা. আরিফ হায়দার ও তার সহযোগীরা যে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এতে শুধু একজন চিকিৎসকই নয়, বিএনপির ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সংগঠনের ভেতরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দাবি জানাই-ড্যাব নেতা ডা. আরিফ হায়দার ও তার সহযোগীদের দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, লম্পট, নেশাখোর, নারী লোভী ডা. আরিফ হায়দারের ঠিকাদার কর্তৃক বিশ লাখ টাকার চেক প্রকাশিত হবার পরেও কেন প্রশাসন নিশ্চুপ? অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এর আগে সম্প্রতি এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপিপন্থি চিকিৎসক সংগঠন ড্যাবের কুমিল্লা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফ হায়দার দাবি করেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ কোটি টাকার অনিয়মের মধ্যে আড়াই কোটি টাকার ভাগাভাগি হয়েছে পরিচালক ডাক্তার মাসুদ পারভেজ ও কুমিল্লা জেলা ড্যাবের সভাপতি ডা. এম এম হাসান মাসুদসহ কয়েকজনের মধ্যে।
আরও পড়ুন
কুমিল্লায় ডাকাত দলের সর্দারসহ ১৪ সদস্য গ্রেফতার
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরে রাখার আহ্বান হাসনাত আব্দুল্লাহর
তবে এসময় সভায় উপস্থিত ডা. এম এম হাসান মাসুদ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবাদ জানান। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ড্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জহিরুল ইসলাম (শাকিল) সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ড্যাবের কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও মেডিকেল কলেজ শাখা কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা ড্যাবের সাবেক সভাপতি এম এম হাসান মাসুদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ডা. আরিফ হায়দার যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির ও টেন্ডার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নই। আমি একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি। আমার ইমেজ ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় ডা. আরিফ হায়দারসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমি চাই কেন্দ্রীয় ড্যাব থেকে এই অভিযোগগুলো তদন্ত করে সত্য উন্মোচিত করা হোক।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড্যাব কুমিল্লা মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফ হায়দারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রসিভি না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জাহিদ পাটোয়ারী/এনএইচআর/জিকেএস